Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাত্ ব্যাক্তি বর্গ

 

 

১।মো: শহিদুল হক মানিক চেয়ারম্যান কালুপাড়া ইউপি পরপর দুই বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান

২।মো:দুলু মিয়া মুক্তিযোদ্ধা শংকরপুর সরকার পাড়া বদরগনজ ,রংপুর

২।মো:আ:জব্বার সরকার ইনি পর পর ৩ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মৃক্তিযোদ্ধা ।

 

 

2।কবি সাহিত্যিক:

কালুপাড়া ইউনিয়নে অজানা একজন কবি সাহিত্যিক রয়েছেন।নিন্মে তার পরিচিতি এবং বেশ কিছু কবিতা দেওয়া হল।

 

লেখকের কথাঃ

             আমার ভগ্নিপতি জনাব আবুল কাশেম সরকার,সাবেক প্রধান শিক্ষক,কাঁচাবাড়ি উচচ বিদ্যালয়,বদরগঞ্জ,

রংপুর তিনি একজন কবি ও সাহিত্যিক। আত্নীয়তার সুবাদে তার সঙ্গে আমার মেলামেশা। তিনি আমার বাসায় এসেও কবিতা লিখতেন। তার কবিতা লেখা দেখে আমি উদ্বুদ্ধহই এবং কবিতা লেখা শুরু করি। তিনি কবিতা লেখায় আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছেন এবং সংশোধনসহ নিয়ম কানুন বাতলে দিয়েছেন এর জন্য আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ।   আমার লেখায় জাতি উপকৃত হলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।

লেখক পরিচিতিঃ

 

পহেলা করিনু শুরু নামে রহমান

বান্দার উপরে যিনিবড়মেহেরবান।

মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি হাজার ছালাম

নবিকুল শিরোমণি জানায় পাক কালাম।

আমি হেন মূর্খমতি করিবোবর্ণন

৬২’র মার্চ মাস মোর জম্ম সন।

পিতামহ জহুর উদ্দিন, রায়তি জোতদার

ছয় ছেলে পাঁচ মেয়ে পেশায় সরকার।

চাড়ালি বিল,টেংগনমারি ,পৈয়ামারি মাথার

যেদিকে চাই তথায় পাই সবজমি দাদার।

সহায়ি বাস শংকরপুরে বদরগঞ্জে বৈঠকঘর

বিপদে পড়ে আশ্রয় নেন এলাকার আপামর।

বাড়ির বাইরে টঙ ঘর গ্রামে ছিলেন মান্যবর

ঘরে বসে ভালো মমদ  নিতেন সদা খোঁজ, খবর।

দাদাসহ সব সন্তান ইতিপূর্বে মারা যান

দোয়া করি তাঁরা যেন বেহেসেত জায়গা পান।

বড় ছেলে জুরির হাকিম জয়নাল আবদিন নাম

তহসিলদারের দায়িতব পালন প্রচুর তার সুনাম।

আঃ সামাদ ২য় সন্তান বড়ই পূন্যবান

তিনি মোর শ্বশুর বটে মনুজা তার সন্তান।

আববাজান দয়াবান সংগে থাকে মেহমান

নিজের খাবার না খেয়ে অন্নহীনকে করে দান।

অর্থ সম্পদ ভালো ছিল পিতার জীবদ্দশায়

জমি বেচে সন্তান পড়ান বিদ্বানের আশায়।

বংশক্রমে বাবার সম্পদ অংশ পাই কম

খোদার কৃপায় টিকে আছি আমি এক অধম।

পিতার নাম দারাজ উদ্দিন, মাতা  ছলেমা

আনারুল মাষ্টার বড় ভাই, রশিদা প্রথমা

গ্রামের নাম শংকরপুর, পরগণা বাতাসন

প্রয়োজনের তাগিদে কালুপাড়ায় মাইগ্রেশন।

উত্তর দিকে শংকরপুর দক্ষিণেলোহানীপাড়া

ওসমানপুর-বৈরামপুরের মধ্যখানে কালুপাড়া।

টিনের ঘরে বাস করি লেট্রিন খানা পাকা

কালুপাড়া বাড়ি যেতে রাসতা অাঁকা বাঁকা।

তিন ভাই,দুই বোন শংকরপুরে জম্মগ্রহণ

বদরগঞ্জ উপজেলাধিন কালুপাড়া ইউনিয়ন।

ছোট বোন সাজেদামাই,রবিউল ভাই

আমি কবি রেজাউল করিম জানিবে সবাই।

 শংকরপুর প্রাঃ বিদ্যালয়শিক্ষায় হাতেখড়ি

৫ম শ্রেণিপাশ করে কলেজিয়েট স্কুলে পড়ি।

                ২য় অংশ

 

৭ম শ্রেণিপাশ করেনাটারাম উঃ বিঃ যাই

৮ম শ্রেণিতে ভাল ছাত্র মেধায়বৃত্তি পাই।

৭৭ সালে এসএসসি পাশ কলেজজীবন শুরু

বদরগঞ্জ কলেজে পড়ি, নুরুন্নবি শিক্ষাগুরু।

রংপুর কলেজে ভর্তি হই আই,এ পাশকরে

বি,এস,সিতে পড়াশোনা ৭৯ সাল পরে।

সংসারে অভাব অনটন বাড়ি থেকে গমনাগমন

যাতায়াতে অসুসহ হই লেখাপড়া হয়না তেমন।

ডিগ্রিগ্রহণ হলো না বিদ্যার্জনেইতি

অল্প বিদ্যায় কাজ নেই সদা মনে ভীতি।

লেখা-পড়া ক্ষান্ত দিয়ে ৮২ সালে করি বিয়ে

ঘর-সংসার শুরু করি জেঠাতো বোন সঙ্গে নিয়ে।

মনুজা খাতুনঘরণী, ছেলের নামমনোয়ার

লেখাপড়া বি,এ পাশ বাড়িতে বেকার।

এক ছেলে,দুই মেয়ে, স্ত্রী পরিবার

বড় মেয়ে রেবেকার শুরু ঘর সংসার।

আই,এ পড়ে ছোট মেয়ে, রেশমিআরা নাম

আমি অধম ৪র্থ সন্তান ভেবে পাই নাকাম।

সংসার চালানো বড় দায় বেকার অবসহায়

কাজ কর্ম ছেড়ে ঘুরি চাকুরীর আশায়।

সোনালী ব্যাংকে ফিল্ড এসিঃ অসহায়িচাকুরি পাই

স্বৈরাচার এরশাদের সময় ছাঁটাই হয়ে যাই।

চাকুরি হারিয়ে ভীষন কষ্ট চিন্তা-ভাবনায় শরির নষ্ট

সংসার খরচ যোগান দিতে আর্থিক সংকটে মতি ভ্রষ্ট।

বাংলার হাটের ইছমাইল হুজুর একদিন ডাকেমোরে

তার মাদ্রাসায় শিক্ষক নেই বেশ কিছুদিন ধরে।

৮৯সালে শিক্ষক নিয়োগ এব্তেদায়ি সহকারি

আড়াই বৎসর দায়িতব পালন চাকুরী বেসরকারি।

বে-সরকারি চাকুরি আমার পছন্দসই নয়

খোদার কাছে বলি যেন সরকারি চাকুরি হয়।

খবরের কাগজে বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন জমা করি

পিয়ন পদে চাকুরিপাই আবারও তাঁকে স্মরি।

বদরগঞ্জ ইউএনও অফিসে ৯২সালে নিয়োগ

২১ বৎসরে প্রমোশন পাই পিয়ন থেকে বিয়োগ।

ডি,এম,ও পদে কাজ করি নেই কোন লাজ

অফিস ছুটির ফাঁকে করি জমি মাপার কাজ।

বিভিন্ন পেশায় রত থেকেও রচনা কবিতার

জাতির জন্য দিয়ে যাচিছ কবিতা উপহার। ঃ

 

এক নজরে কালুপাড়া ইউনিয়নঃ

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

 

বদরগঞ্জ নাম নিয়ে পৌরসভা গড়া

একই নামে ইউনিয়ন হয়না সৃষ্টি কালুপাড়া ।

কালুপাড়ার নামকরণে আঃ জব্বার সরকার

পরিষদ ভবনে বসার সুযোগ হয় নাই তার।

চার মৌজার সমন্বয়ে কালুপাড়া ইউনিয়ন

লোকসংখ্যা ১৯,৬৯৭জন৬,৫৯১ বঃ এঃআয়তন।

শংকরপুরের  কিছু অংশ কিছু  জামুবাড়ি

কালুপাড়া ,বৈরামপুর মৌজা নিয়ে গড়ি।

শহিদুল হক মানিক যিনি এলাকার ভাগ্যবান

কালুপাড়া ইউপি‘র তিনি ১ম নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

ইউ,পি কমপ্লেক্ম ভবন তার মাধ্যমে স্যাংকশন

২০০৭সালে ভবনখানা তিনি করেন উদ্বোধন।

নতুন ভবনে শহিদুল হক শাসন কার্য চালান।

দায়িতব ভার হাতে নিয়ে চোর,ডাকাত দমান।

সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আলি সরকার

ইউনিয়নের জামুবাড়িতে বসত বাড়ি তার ।

বদরগঞ্জইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান

একরামুল হক,মোশারফ হোসেন ইউনিয়নের জনগণ।

আইয়ুব আলি সরকার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার

রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত আঃ কুদ্দুস এলাকার।

দেশের অতন্দ্রপ্রহরি যারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান

ইউনিয়নে তারা ছয় জন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান।

কাঁচা ইট পোড়ার জন্য আছে ০২ টি ভাটা

অনেক শ্রমিক নিয়োজিত প্রচুর আয় টাকা।

বেচাকেনায় হাট বসে বৈরামপুর ও ঢুকঢুকি

হাটের মত আয়োজন গুটির ডাংগায়ও দেখি।

চার মৌজায়একটি করে ০৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিক

সহাপিত ০৬শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাম উচচ মাধ্যমিক।

সরকারিসিবকৃতি পায় বৈরামপুর দাখিল মাদ্রাসা

কালুপাড়া ফুলপাকুড় ডাংগা এমপিও ভূক্তির আশা।

রাইস মিল ০৪টি চালু ২১ টি সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়

মুসলমানগণ নির্মাণ করেন ৩৮টি ধর্মিয় উপাসনালয়।

০২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে সরকারিকরণ

কালুপাড়ায় পরিষদ ভবন তাই কালুপাড়া নামকরণ।

ফুলপাকুড় ডাংগা এবতেদায়ি মাদ্রাসাবেতন চলমান

চারজন শিক্ষক কর্মরত তথায় করেনপাঠদান।

চারালি বিল বাঁশদহ বিল আরো বড় উন্তা

সরকারিভাবে ডাক হয় হাড়িভাংগা সহ চারটা।

মরা তিসতা নদী আছে ইউনিয়নের ভিতর

০৫ সহানে ব্রিজ নির্মাণ সেই নদীর উপর।

বৈরামপুরের খাসজমিতে গুচছগ্রাম আবাসন

নিঃস্ব,গরীব, গৃহহিন তথায় হয় পূনর্বাসন।

ধান,পাট,আলুবেগুন বিভিন্ন ফসলের আবাদ

বড় বন্যায় মরা তিসতায় ধান হয় বরবাদ।

২য় অংশ

 

বিনোদন কেন্দ্র আছে জামুবাড়ি মায়াভূবন

শংকরপুর চিলমারী হুজুর নফ্স করে সংশোধন।

মুসলমানের বড় উৎসব ঈদুল ফেতর ঈদুল আয্হা

ঈদের নামাজ পড়ার জন্য আছে ০৯ টি ঈদ্গা।

চিঠিপত্র আদান প্রদানে একটি মাত্র ডাকঘর

হিন্দুদের পুজা হয় ০৬মন্দিরে বরাবর।

ব্যক্তিমালিকানায় ২১০ পুকুর,তাতে মাছের চাষ

মাছ বেচে আয় করে খায় বার মাস।

ভূমিহিন ২৩% তারাও মোদের আপনজন

৬৬ % শিক্ষার হার জরিপ করে পরিসংখ্যান।

আবুল কাশেম, আঃ কুদ্দুস ইউনিয়নের সন্তান

বেতার কেন্দ্রে শিল্পিহিসাবে একদা গাইত গান।

কথায় কথায় ছন্দ মিলান আঃ সামাদ নাম

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই শংকরপুর গ্রাম।

সরকার পাড়া প্রাইমারি স্কুল ১৯১০ সালে তৈরি

দীর্ঘদিন পর পাকাকরণ স্কুল হয় সরকারি।

লেখক রেজাউল করিম, বংশিবাদক আঃ মান্নান

উভয়ের জম্মগ্রহণ কালুপাড়ার একই সহান।

সাবেক তিন ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য তিন জন

 ৯ জন ইউ,পি সদস্য ওয়ার্ড করেন নিয়ন্ত্রণ।

ইউনিয়নের প্রথম সচিব মোঃ আতিয়ার রহমান

বদরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম তার যোগদান।

ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করেন সরকার

যাবতীয় তথ্য উপাত্ত আপলোড করেন মাহফুজার।

৯ ওয়ার্ডে৯ মহল্লাদার পরিষদে কর্মরত

আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে রাখা তাদের দায়িতব।

আমার নাম রেজাউল করিম যাহা ছিল জানা

এক নজরে গোটা ইউনিয়নের দিলাম ধারনা।

 

 

 বদরগঞ্জের ইতিহাস,ঐতিহ্য

(রেজাউল ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

 

বৈকুন্ঠ বরহট্ট নামে জমিদার ছিল

তার নামে বৈকুন্ঠপুর এলাকা গড়িল।

হঠাৎ করে হেথায় আসে বদর পাগলা নাম

তার কারনে বৈকুন্ঠপুর হয় বদরগঞ্জ গ্রাম।

উত্তর দিকে তারাগঞ্জ দক্ষিনে নবাবগঞ্জ

পার্বতীপুরমিঠাপুকুর মধ্যখানে বদরগঞ্জ।

পরিসংখ্যান জরিপে লোকসংখ্যা ২,৮৭,৭৪৬ জন

৬৪ মৌজার সমন্বয়ে৭৪,৪৪৮একর আয়তন।

চারিদিকে নদীঘেরা বদরগঞ্জ পৌরসভা

যমুনেশ্বরী তীরে বসে প্রতি বছর মেলা।

বদরগঞ্জ হাট দুই দিন প্রতিদিন বাজার

পুরান বাজারে নির্মিত বদর পিরের মাজার।

মুড়ির কোন জুড়িনেই ছিল গাড়ির চাকা

মসজিদ মন্দির পাশাপাশি নিরাপত্তায় ঢাকা।

প্রাচীনকালে বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল নদীবন্দর

মালামাল আনা নেয়ায় জাহাজ হতো নোঙ্গর।

যোগাযোগ খুবই ভালো রেলপথে চলাচল

প্রয়োজনে আনতে পারেন বাসযোগে মালামাল।

বদরগঞ্জে দশ ইউনিয়ন একটি মাত্র পৌরসভা

পৌর সদরে শহিদ মিনার সেথায় নিত্য জনসভা।

পৌরসভার সাহাপুরে আপেল সিরামিক্স কারখানা

প্রসতুতকৃত উপকরণাদি স্বাসহ্য সম্মত পায়খানা।

বিচারপতি শওকত,ডঃ শাহ্নওয়াজ মোদের কৃতি সন্তান

নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে রেখেছেন বিরাট অবদান।

 প্রফেসর আলিমুদ্দিন এলাকার কবি ও সাহিত্যিক

লেঃ কঃ (অবঃ) নজরুল হক একমাত্র বীর প্রতিক।

 নান্নু চৌধুরি,সাইফুল ইসলাম এরা নাট্য ব্যক্তিতব

সংস্কৃতির জগতে আছে তাদের নানা কৃতিতব।

ইতিহাসগবেষণায়আবুল কাশেম সরকার

মিষ্টির সেরা ননিগোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডার।

  রাধানগর পিরপালে তিন পিরের মাজার

লালদিঘি,মাদারগঞ্জ হাট ইউনিয়নের মাঝার।

গোপিনাথপুরে প্রাচিন মসজিদ নয় গমবুজ নাম।

হারানো ঐতিহ্য ফিরায়ে আনতে করে চুনকাম।

ঢেরের ডাংগা ওয়াক্ফ স্টেট গোপিনাথপুরে জানি

সুফিসাধক শাহ্ সেকেন্দার(রঃ)পির হিসাবে মানি।

হিন্দুধর্মের স্নান মেলা আয়োজন প্রতিবার

রামনাথপুর ইউনিয়নের করতোয়া নদীর ধার।

ঝাডুয়ার বিল বধ্যভূমি গণহত্যার কবর

তথায় স্মৃতি সৌধ নির্মাণ রামনাথপুরের খবর।

যমুনেশ্বরি তীরে বসে হিন্দুদের বারুনিস্নান

দামোদরপুর ইউনিয়নাধিন শেখেরহাট সহান।

কাঁচামালসংরক্ষনের জন্য মধুপুরে হিমাগার

         গৃহহিনের গুচছগ্রাম সুব্ডুব্ বিলের ধার।

 

                       ২য় অংশ

 

গোপালপুরে ভিমের গড়তথায় জমিদার বাড়ি

ভিমের গড় বিলুপ্ত হচেছ করছে মানুষ বাড়ি।

নান্দিনারবড় পুকুর আরো সুগার মিল

ডিস্টিলারির পাশে আছে নান্দিনার বিল।

কুতুবপুর নাগের হাটে কুতুবশাহের মাজার

কবি,সাহিত্যিক আঃ মজিদ হেথায় জম্ম তার।

রাজনীতিবিদ জিতেন দত্ত তথায়করেন চাকুরি

পৌরসভায় দত্ত মঞ্চ তার নামে তৈরী।

হাড়িভাংগা, বাঁশদহ বিল কালুপাড়া ইউনিয়ন

উন্তাবিলের ধারে নির্মাণ মায়াভূবন বিনোদন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রি আনিছুল হক চৌধুরি

হাতি দ্বারে বাধাঁ ছিল বিষ্ণুপুরে বাড়ি।

তার ভাই সাবলু চৌধুরি গড়েন পিকনিক কর্ণার।

ওসমানপুর সিনিয়রমাদ্রাসা বিখ্যাত এলাকার।

লোহানীপাড়ায় প্রচুর বসত আদিবাসি পরিবার

 লোহানী বংশ,চাপড়া কোর্ট ইউনিয়নের মাঝার।

বদরগঞ্জের ইতিহাসনিয়ে কবিতা রচনা

অগোচরে ভুল হলে করে দিন মার্জনা।

 

 

 

 

 

পথিক

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

লক্ষ্য সিহর না করে কোথায় চলেছ পথিক

এখনও বুঝতে পারনি কোন পথ সঠিক।

দুনিয়ার মায়ায় পড়ে পথ হারিয়ে যায়

হয়ত কেউ জানায়ে দেবে তাই ফিরে চায়।

পথিকের জানা নেই কোথা তার প্রসহান

চলা তার থেমেযাবে হলে প্রানের অবসান।

সময় থাকতে তালাশ কর সঠিক পথের সন্ধান

অসময়ে পসতাতে হবে শুধুই হবে হয়রান।

দুনিয়ায় চলতে গিয়ে পথিক পথ সৃষ্টি করে

বাঁচার জন্য এগোতে হবে সঠিক পথ ধরে।

সিরাতুল মুসতাকিমে চলার তাগিদ দিয়েছেন প্রভু

মোরা কি চেষ্টা করছি সে পথে চলতে কভু ?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মানুষ

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)ল

 

পৃথিবীতে মানুষ প্রেরণ আল্লাহ পাকের আবাদ

ধন সম্পদের লোভে পড়ে তারা করে বিবাদ।

সৃষ্টিকূলের সেরা মানুষ সম্মোধন আল কুরআন

কাজে সেরা প্রমান হবে রাখতে হবে অবদান।

আল্লাহ পাকের আদেশ পালনে মানুষ করে ভূল

সংশোধনে প্রেরণ করেন নবি ও রাসুল।

চোর, ডাকাত একই মানুষ কেউ কবি, সাংবাদিক

আধ্যাত্নিকে পির, আউলিয়া গবেষণায় বৈজ্ঞানিক।

সহান ,কাল,পাত্র ভেদে সৃষ্টি জাতি,ধর্ম

সৃষ্টিকূলের কল্যাণ সাধন মোদের হবে কর্ম।

নির্দিষ্ট সময় পার করে যেতে হবে পরপারে

পৃথিবীতে এটাই দেখছি যুগ যুগ ধরে।

কিছু মানুষবোঝে না মন্দ কাজ ছাড়েনা

এখনই ভাল হই,হয়ত সময় পাবোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইবাদতের শর্ত

 

নিজেকরেন সাধুগিরি,বাড়িতে বেপর্দা নারী

ইবাদত,বন্দেগি নিস্ফল হবে, বদের পাল্লা ভারি।

ছেলে,মেয়ে হলে ভ্রষ্টা,কেমনে বাঁচায় স্রষ্টা

নেক আমলবরবাদেভ্রষ্টানারীরদোষ্টা।

হারাম থেকে পাক,সাফ্ থাকবে নারীর জাত

পর্দা,পুশিদায় ইবাদতকরলে তেমনিকামালিয়াত।

সাধুবেশে ঘুরে বেড়ান হারাম খাদ্য খান

হারাম দেহের আমল নিয়ে,রক্ষা পাবেনা প্রাণ।

ইবাদতের পূর্ব শত,র্ হালাল রিজিক তালাশ

দেল শুদ্ধি আমল হলে পেয়ে যাবে খালাশ।

স্বামী, স্ত্রী সবাই মিলে ইবাদত করা চাই

ইবাদতে ফায়দা পাবে কামেল হবে ভাই।

 

 

(রেজাউল করিম)

০১১৯৭০৫৭৭২৪

 

 

 

 

 

 

ভুলে গেছি

 

ধরায় এসে ভুলে গেছি,সৃষ্টিকর্তার নাম

কত সুন্দর দেহ দিয়েছেন ভিতরে নানা কাম।

প্রাণ কোথাও কেনা যায়না তাঁর কাছে থাকে

যখন যার প্রয়োজন একএক করে ডাকে।

বসবাসেরউপযোগি জীব,বৈচিত্র পৃথিবী

বিচার,বুদ্ধি সবদিয়েছেন কেউ হয়েছে মেধাবি।

গোটা বিশ্বের অধিপতি তাঁরে যায় না দেখা

ভালো,মন্দের বিচার হবেতাঁর হুকুমে লেখা।

কিছু সময়ের জন্য পাঠিয়েছেন মোদের এ ভবে

দির্ঘ সময় সুখের জন্য কামাই করতে হবে।

 

 

 

 

(রেজাউল করিম

০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

 

দেহ ও প্রাণ

 

 

দেহ মধ্যে প্রাণের লেশ বের হলেইশেষ

দেহটারে বাহন করে,ঘুরে দেশ,বিদেশ।

প্রাণ বিনা দেহখানা হয়ে যায় লাশ

একসঙ্গে দুইজনা মিলেমিশে বাস।

দেহ, প্রাণকাছাকাছি তারে মোরাচিনিনা

প্রাণ পাখি উড়ে গেলে দেহের খবরজানিনা।

জগৎ মাঝে দেহ গঠন ক্ষয়হয় ধরায়

যেথা থেকে আসে প্রাণতথায় চলে যায়।

প্রাণনিয়ে নাড়াচাড়া করেন যেই জন

তিনি হলেন নিরাকার প্রভু নিরঞ্জন।

যতক্ষণ প্রাণের আশ,তারে কর তালাশ

 পরকালেহিসাবেতে ,পেয়ে যাবে খালাস।

 

 

মসজিদের পবিত্রতা

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

মসজিদ ঘর ইবাদতখানা ঘুমানোর জায়গা না

ইসলাম প্রচারক একদল লোক হয়তো জানেনা।

ধর্ম প্রচার করেন যিনি নাম তার প্রচারক

নবি,রাসুল নির্ধারিত সেই দলের লোক।

মসজিদ ঘর আল্লাহর ঘর খাওয়া,ঘুমানো মানা

রান্নার জন্য কেরসিন তেল নাপাক সবার জানা।

ছয় অসুলের তাবলিগ জামাত ভারত থেকে শুরু

হিন্দুসহানের ইলিয়াস মেওয়াতিএই তাবলিগের গুরু।

দেশ,বিদেশে ঘুরে বেড়ান নেই বাড়ির খবর

পরিবারের পর্দা নেই,পড়ে সবার নজর।

ভালো খায়,ভালো পরে,জুম্মা জুম্মা ঘোরে

৪০দিনের চিল্লা দিয়ে ছওয়াব কামাই করে।

বেশিছওয়াবে কাম নেই দেল জিন্দা চাই

দেল জিন্দা করার জন্য মোর্শেদ ধর ভাই।

স্ত্রী বিহনে পুরুষ লোকের স্বপ্নদোষের ডর

ঘুমানোর জন্য নাপাক হয় পাক মসজিদ ঘর।

দ্বিন প্রচারে রাসুলের সঙ্গে ছিল তার পরিবার

তাবু খাটায়ে রাত্রিযাপন রান্না করতো খাবার।

বেঁচেথাকতে তালাশ কর সঠিক পথের সন্ধান

পরপারে আল্লাহর কাছে পেয়ে যাবে পরিত্রান।

 

 

 

 

তোমার লিলা

 

মাটি দিয়ে আদম(আঃ)সৃজননেইকো তার প্রাণ

মাটির দেহ কথা বলে আল্লাহ পাকের শান।

 

আদম(আঃ)থেকে হাওয়া সৃষ্টি একসঙ্গে রয়

শয়তানের প্ররোচনায় ধরায় বস্তি হয়।

 

সারাবিশ্বেছড়িয়ে আছে আদমের সন্তান

সিজদাহ্ তাঁরে না করে অবাধ্য শয়তান।

 

আদমের জন্য সারাজাহান পয়দা মাখ্লুকাত

রোগ বালাই দূর করে পানি আবেহায়াত।

 

দিনের বেলায় আছো তুমি রাতের মাঝে তুমি

অত্যাচারী ফেরাউন রাজা তোমারলিলায় মমি।

 

ইসলাম ধর্মে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মেহেরবান

মুসলমান হওয়ার জন্যকরেছো সাবধান।

 

সিমার মাঝে অসিম সেতো বৃষ্টি হয়ে ঝরে

দেহ থেকে প্রান ত্যাগ যায় সে মরে।

 

 

সৃষ্টি কৌশল

 (রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

 জগৎ মাঝে মানুষ সেরা আল্লাহ পাকের সৃষ্টি

সবার জন্য দুইটিচক্ষু কারুর দিব্যদৃষ্টি ।

দৃষ্টহীনকেঅন্ধ বলে কি যে তার যন্ত্রনা

কত সুন্দর পৃথিবীটা তার কাছে অজানা।

দেহের বাইরে বিভিন্ন অঙ্গ ভিতরে নানা কারখানা

যতইভালখাদ্য খাই তামামহয় আবর্জনা।

কার্বন ডাই অ∙াইড প্রশ্বাস ছাড়ি অ∙∙জেন গ্রহণ

দূষিত বায়ু শুদ্ধ করতে উদ্ভিদ করেছোসৃজন।

খাদ্যদ্রব্য চিবানোর জন্য দাঁত দিয়েছো দুইপাটি

                                   মুখের ভিতর ৩২ দাঁত সাজায়েছোকত পরিপাটি।

চলাচলে পাঁ দিয়েছোযাহাখুবই দরকার

দেহের বাইরে তবক দিয়েছোপরিবেশ থেকে রক্ষার।

বিশুদ্ধ রক্ত ধমনিতে চলে খারাপ রক্ত শিরায়

শোনার জন্য কান দিয়েছো হাত দিয়েছোধরায়।

জিহ্বার স্বাদ তিতা মিঠা পেটের ভিতর ছাক্নি

মলমুত্র পরিস্কার করে মহামূল্যবান কিড্নি।

শরিরের মধ্যে কোন অঙ্গ যদি হয় গরমিল

জীবন যুদ্ধে পরাজিত হবেবেঁচে থাকা মুস্কিল।

ধুলা ময়লায় বাঁচার জন্য মাথায় দিয়েছো চুল

কত চমৎকার সৃষ্টি কৌশল কোথা নাই তার ভূল।

 

 

 

 

 

ইবাদতে মনোযোগ

 

ন্যায়,নিষ্ঠা মনোযোগে ইবাদতকরা দরকার

একাগ্রতা নষ্ট করে মোবাইল ফোন সচরাচর।

কুর্আন হাদীসে আছে, নামাজ অর্থ স্মরণ

উচচহারে শব্দ করা নামাজের মধ্যে বারন।

আত্নীয় বাড়ি না গিয়ে মোবাইলে কথা হয়

ভালো,মন্দ খোঁজখবর কত কথা বিনিময়।

যখন তখন মোবাইল ফোন ব্যবহার ভালো নয়

মোবাইল ফোন বন্ধ রবে জুম্মায় ঢোকার সময়।

নামাজ মধ্যে কল আসে যদি মোবাইল ফোনে

সুরা,কেরাত ভুলে যাই, কিছুথাকে না মনে।

 বিরক্তিকর রিং,টোন থাকে বাজনা গান

নামাজেফোন বেজে উঠলে যায় তার মান। 

দুনিয়াবিথেকে ফারাগ হয়ে নামাজ কর পালন

তাহলে সবাই ফায়দা পাবে, হবে তাঁর দরশন।

মোবাইলের অনেক সুবিধা,মনোযোগে হয় ক্ষতি

একাগ্রচিত্তে তাঁরে স্মরিবে,এটাই নিয়ম নিতি।

হিতের জন্য মোবাইল রাখা,যদি হয় অহিত

মনোযোগে সচেষ্ট হোন ব্যবসহা নেবেন তবরিৎ।

 

(রেজাউল করিম

০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

সাবধান

(রেজাউল করিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

আল্লাহ পাকের ইচছা পোষণ আদমের সৃজন

ফেরেশতাদের সংগে নিয়ে করেনআলাপন।

ফেরেশতারা মতামত দেন, আদম বানানো যাবে না

ধরায় গিয়ে ব্যভিচার করবে তোমার কথা মানবে না।

আল্লাহ বলে, আমি যাহা জানি তোমরা তা জান না

মহববত করে আদম সৃজন কোরআন পাকে বর্ণনা।

মাটি দিয়ে আদম(আঃ) সৃজন নেই তারপ্রাণ

মাটির দেহ কথা বলে আল্লাহ পাকের শান।

আদম(আঃ) থেকে হাওয়া সৃষ্টি একসঙ্গে রয়

শয়তানের প্ররোচনায় ধরায় বসতি হয়।

সারাবিশ্বে আছি মোরা আদমের সন্তান

সিজদাহ্ তাঁরে করেনি অবাধ্য শয়তান।

আদমের জন্য সারাজাহান পয়দা মাখ্লুকাত

শেফার জন্য ঔষধ সৃজন পানি আবেহায়াত।

আদম সন্তানের বিচার হবে রোজ কেয়ামতে

বেঁচে থাকতে সাবধান হোননিস্কৃতি পেতে।

 

 

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি

(রেজাউল করিম )

 

আল্লাহ পাকের ঐশি বাণিসমন্বিত আল কুরআন

আল কুরআনের অনুসারিদের বলা হয় মুসলমান।

মুসলমানের ৭৩ দল সবার ধর্ম ইসলাম

ইসলাম শোনায় শান্তির বাণিজানায় পাক কালাম।

ধর্মিয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি বিশৃংখলায় তৎপর

বিশৃংখলাসৃষ্টি করা কতলের চেয়েও ভয়ংকর।

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হাদিসে আছে মানা

সকল ধর্মের সমান অধিকার কোরআন পাকে জানা।

কোরআন,হাদিসের অপব্যাখ্যায় আরব দেশের ওহাবি

জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা পাকিসতানের মওদুদি।

বাংলাদেশের গোলাম আজম, মওদুদির অনুসারি

কার্যকলাপে দল নিষিদ্ধ কোর্টের আদেশ জারি।

দেশে ইসলামি শাসনের জন্য যারা তুলে শ্লোগান

খুন,ধর্ষনে অভিযুক্ত তারা, একাত্তরের শয়তান।

ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা মানুষ করে হত্যা

কুরআন,হাদিস অপব্যাখ্যায় অলিদের দেয়না পাত্তা।

আল্লাহর কিতাব আল কুরআন, যদি হয় সংবিধান

দেশের তৈরি সংবিধান মর্যাদা কি তার সমান ?

রাজনৈতিক দলের থাকে নেতা, থাকে জাতির পিতা

আল্লাহর হাবিব নবি, রাসুল কেমনে হয় নেতা ?

নবি, রাসুল,কোরান হাদিস যারা অবমাননা করে

পরকালে নরক বাস আজাব তাদের তরে।

দেশটা

 

যিনি জীব সৃষ্টি করেন, তারে বলেস্রষ্টা

আল্লাহর নিয়ম মানে না সে হয়ভ্রষ্টা।

ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখান, তিনি স্বপ্ন দ্রষ্টা

সকলের সাথে মেলামেশা নারী হয় নষ্টা।

খরা,বন্যা,জলোচছবাস এই নিয়ে দেশটা

স্বল্প পরিসর,বেশী পরিবার বেঁচে থাকার চেষ্টা।

পাহাড়-পর্বত,নদী-নালা কত সুন্দর দৃশ্যটা

চৈত্র মাসে প্রখর রোদে প্রচুর পানির তেষ্টা।

হরতালে মানুষ খুন,তার কোন দোষ্টা ?

ভোট নিয়ে রাজনীতি লোকের যায় জান্টা।

 

 

 

 

 

 

 

সৃষ্টিকর্তা

 

সৃষ্টিকর্তা সাজিয়েছেন, জগৎ কত সুন্দর

বংশবিসতারে প্রেরণ করেন নারী সহ নর।

মহববতে আদম পয়দা, আরো পয়দা জ্বিন

সৃষ্টিজগৎ হাতের মুঠোয় তাঁর আওতাধিন।

মানুষ সৃষ্টির মুল উদ্দেশ্য, করবে তারাইবাদত

বসবাসের উপযোগি অনেক দিয়েছেন নেয়ামত।

নিজ নিজ যোগ্যতা নিয়ে, মানুষ আসে ধরায়

 শয়তানের নানা প্রলোভনে আল্লাহকে ভুলে যায়।

আল্লাহর দিকে আহবান, মুয়াজ্জিনের আজান

আজান হলে কাজ ফেলে ইবাদতখানায় যান।

ইবাদতে বান্দার কল্যাণ, আল্লাহ পাক্ খুশি

পরকালে নাজাত পাবো ইবাদত করি বেশি।

পুষ্টিকর খাবারে শক্তি বাড়ে, শয়তান করে ভর

তাগুতের কাছে মানুষ হারে থাকেনা খোদার ডর্।

আগমনকালে অঙ্গীকারগুলো, ভবেথাকেনা স্মরণ

ভালো কাজের সময় পায়না অবশেষে হয় মরন।

নির্দিষ্ট সময় পার করে যেতে হবে পরপারে

ভাল-মন্দযাচাই হবে সৃষ্টি কর্তার দরবারে।

মৃত্যু তোমার নিকটবর্তী মোটেও সময় নাই

পরকালে শান্তির জন্য সাবধান হওয়া চাই।

 

 

 

দানব যাতনা

 

কবিতা সহে না, দানব যাতনা,কবিতোভ্রষ্টা না

দানবরা বোঝে না, কবিতা যে কল্পনা। 

নতুন সৃষ্টির অন্তরায়,মৌলবাদী হায়েনা

দানব রুপি রাক্ষস করে ধবংস কামনা। 

পবিত্র গ্রমহজ্ঞান ভান্ডার,এর মর্ম বুঝে না

কবিদের নাসিতক বলে তাদের মানুষ ভাবেনা।

 আল্লাহ পাকের সৃষ্টি নিয়ে কবির নানা ভাবনা

কবিতায় ফুটে তোলে সৃষ্টিকূলেরবর্ণনা।

মহাবিশ্বের রুপ-বৈচিত্র কবিতায় রচনা

কবিতায় জেগে উঠে অফুরন্তসম্ভাবনা।

বিধর্মীদের মানুষরুপে দানবরা মানে না

কবিদের কবিতায় থাকে জাতির নির্দেশনা।

মুক্ত মনের কবিগণ প্রতিবাদের প্রেরণা

ধর্ম নিয়ে অপব্যাখ্যা দানবদের বাহানা।

কবিতার সুর-ছন্দে আসমানি কিতাবখানা

কিতাব নিয়ে নাড়াচাড়া আল্লাহকে চেনে না।

 

 

 

 

 

 

সংসারের চাহিদা

 

সংসারের ঘানি টানা কি যে বড় যন্ত্রনা

কারো চাহিদা মেটা যায় কারো চাহিদা মেটে না।

গিন্নির দেওয়া তালিকা নিয়ে রোজ যাই বাজারে

তালিকা মতো খরচ নাই কেমনে বুঝাই তাহারে ?

পণ্যের বাজার সহায়ী নয় হঠাৎ মূল্য চড়া

একই টাকায় অল্প খরচ ব্যাগ হয়না ভরা।

খরচ দেখে গিন্নি বলে,কেমনে চাহিদা মিট্বে

পণ্যের মূল্য বেশী হলেও পণ্য কেন কমবে?

মাছ,মাংস দামি খাবার, ক্রয় করি কম

টাকা,পয়সা বাঁচার জন্য নিরামিষ হর দম।

গিন্নির জন্য ভাল শাড়ি,ছেলের প্যাণ্ট,শার্ট

আয় করে একজনে সবাই ঘুরে স্মার্ট।

কলেজ পড়ুয়া মেয়ের লাগে,রোজ ভ্যান ভাড়া

চাহিদা মতো তারে দেই,ছোট নোটের তোড়া।

বাড়িতে আছে বৃদ্ধা মা, প্রায় অসুখ তার

অনেক টাকা খরচ হয়,ঔষধ ও ডাক্তার।

ধনী,গরিব একই চাহিদা,খাওয়া,পরা সমান

বাজারে পণ্য কেনার বেলায় কেমনে তাল মিলান?

ভালো খাবার প্রতিবার, চায় ভালো তরকারি

পরিবারের চাহিদা যেন দিনে দিনে ভারি।

দিনভর শ্রম দিয়ে অল্প টাকা আয়

মাসব্যাপি অনেক ব্যয়,সংসার চালা দায়।

পরিবারে সকলের, দায়িতব থাকা চাই

সংসারে সুখ,শান্তি তেমনি আসবে ভাই।

 

(রেজাউল করিম)

০১১৯৭০৫৭৭২৪

 

বদ্ অভ্যাস

 

ধুমপান স্বাসেহ্যর জন্য ক্ষতিকর বলেন ডাক্তার

মারাত্নক সব রোগ হয় ফুস্ফুসের ক্যান্সার।

ধুমপানপ্রতিরোধে বিধান করেন সরকার

মোবাইল কোর্টে ধরা পড়লে জরিমানা তার।

বিড়ি,সিগারেট নির্গত ধোঁয়া অন্যের জন্য ক্ষতি

ধুমপানকারি জেনে,শুনে খাওয়া দেয়না বিরতি।

পবিত্রতা নষ্টসহ সমাজের ক্ষতি করে

শরিরনষ্ট,আয়ু কমে শিঘ্র লোক মরে।

ধুমপানকারির মুখের গন্ধে পাশে থাকা দায়

বিড়ি,সিগারেট ধুমপানে বদ্ নেশা জম্মায়।

শরিরনষ্ট,আয়ু কমে অর্থের হয় অপচয়

 বদ্ অভ্যাস পরিত্যাগ করুন এখন আর নয়।

 

 (রেজাউল করিম

০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

দূর্ঘটনা

 

হঠাৎ ঘটে,কোন ঘটনা, নাম তার দূর্ঘটনা

পারাপারে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

ঘর,বাড়ি থেকে রাসতায় বের হলে সংশয়

কখন কোন যানবাহন জীবনটা কেড়ে লয়।

রাসতাগুলো পাকা হওয়ায় গাড়িদ্রুত চলে

চলাচলে ভয় লাগে কখন পড়ি তলে।

গাড়িগুলো অতি পুরনো ব্রেক নাই ঠিক

নির্ণয় করতে পারে না, চালক গাড়ির দিক।

সড়কপথে চলাচলে সদায় মনে ভাবনা

কখন,কার মরনহবে তার খবর অজানা।

বাঁচার জন্য ঘর সংসার, করি নানা কল্পনা

দুর্ঘটনায় মারা গেলে কল্পনা থাকে অজানা।

জীবন,মরন খোদার হাতে তবু বাঁচার কামনা

সব ছাড়িয়ে হঠাৎ করে কেউ মরতে চায়না।

রাসতা,পথে চলাচলে একটু সাবধান হউন

সাবধানতায় বেঁচে যাবে একটি অমুল্য জীবন।

 

(রেজাউল করিম

০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

 

 

 

 

 

 

 

চাটুকার

 

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

যখন কোন  দল যায় রাষ্ট্র ক্ষমতায়

চাটুকারেরা সেই দলের কর্মিহয়ে যায়।

লোকের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি মালামাল

 মালামাল লুটে খায় চাটুকার ও দালাল।

সুবিধাবাদিরা ঘিরে থাকে নেতার আগে,পিছে

ভিড়তে পারেনা জনগণ প্রিয় নেতার কাছে।

তাদের জন্য দেশ জাতির হয় না উন্নয়ন

যোগ্য নেতা হেরে যায় বিমুখ হয় জনগণ।

তারা কোন দল করেনা শুধুই ফায়দা লোটায়

সরকারের মেয়াদ শেষে সুযোগ বুঝে পলায়।

ভাল চোখে দেখেনা কেউ পায় তারা ধিক্কার

সবার মনে প্রশ্ন জাগে চাটুকার তুমি কার?

ধামাধরা চাটুকার থেকে হতে হবে সাবধান

নইলে শেষে পসতাইবে ক্ষমতার হলে অবসান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অবসর জীবন

 

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

কারুর বয়স ৫৯ হলে চাকzুরতেঅবসর

দায়িতবমুক্ত দিন কাটে আরামেদিনভর।

বাঁধাধরা নিয়ম ছিল যখন ছিল চাকুরি

পূর্বের কথা মনে হলে হতাশায়মরি।

চাকুরিকালিন মর্যাদা ছিল সবাই দিতো দাম

অফিস গেলে সবাই চিনতো করে দিতো কাম।

চাকুরিবিহিন মানুষগুলোর উদাস উদাস ভাব

শরির,মন দূর্বল হয় কোমলতাদেরস্বভাব।

খোশ গল্পে মিলিত হনখায়না চা ও পান

পকেটে কোন অর্থ নেই যায়না কোন দোকান।

মাসে মাসে টাকা পাইতো উপরি ছিল আয়

এখন বেতন কমে যায় সংসার চালানো দায়।

 সহকর্মিদের দেখা পেলে আনন্দে মেতে উঠে

ভালোমন্দ খোঁজখবর আলাপচারিতায় কাটে।

সরকার কর্তৃক ভাতা প্রদান বেঁচে থাকার সনে

বাড়িতে ভাবে বেকারখায় কেউ রাখে না মনে।

দিনে দিনে বয়স বাড়ে মনে জাগে ভিতি

জম্ম নিলেমরতে হবে এটাই দুনিয়াররীতি।

 

 

 

 

 

টোকাই

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

শহরের অলি গলি ঘোরে,বসতা নিয়ে পিঠে

ভাগারে পরিত্যক্ত জিনিষ খোঁজে নাম টোকাই বটে।

অল্প বয়সের ছেলেমেয়ে গরীব ঘরের সন্তান

অভাবের কারনে পড়েনা করে কাজের সন্ধান।

লেখাপড়ার ঝোঁক নেই থাকে তারা মূর্খ

শিক্ষা পেলে উন্নতি হবে ঘুচে যাবে দুঃখ।

দল,ব্যক্তি প্রলোভন দিয়ে খারাপ কাজে লাগায়

অর্থের লোভে কাজ করে শেষে জীবন হারায়।

পড়ার জন্য বই,পুসতক ফ্রি দিয়েছেন সরকার

টোকাইরা বোঝেনা শিক্ষার কেন দরকার ?

ভাল খাওয়া ভাল পরা তারাও চায় শিক্ষা

সুন্দর জীবন গড়ার জন্য নিতে হবে দীক্ষা ।

 

 

উপলদ্ধি

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

বাড়ীতে থাকে পোষা বিড়াল তার নাম পুশি

বাড়ি ঘরে ইঁদুর পেলে বেজায় সে খুশি।

ক্ষিধে পেলে সামনে এসে করে মিউ মিউ

খাবার দিলে তাড়া করে কুকুর করে ঘেউ।

প্রতিবার খাবার সময় পাশে রয় বসে

খাদ্যের অংশ মাছের কাঁটা তারে দেই খসে।

কুকুর,বিড়াল শত্রম্ন হলেও মনিবের দেয় পাহারা

 খাবার বেলায় স্বার্থ খোঁজেকুকুর হয় টেরা।

ক্ষেতের ফসল ঘরের পণ্য ইঁদুর ক্ষতি করে

ইঁদুর দমন হয় যদি বিড়াল থাকে ঘরে।

প্রাণি হয়েও বিড়াল যদি করে মানুষের উপকার

সৃষ্টির সেরা মানুষের তাউপলদ্ধি করা দরকার।

 

 

 

 

 

 

 

 

বিলুপিতর পথে মেলা

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

চারিদিকে নদী ঘেরা বদরগঞ্জ উপজেলা

যমুনেশ্বরিতীরে বসে প্রতিবছর মেলা

বদরগঞ্জ প্রাচিন মেলা ১৩ পৌষ শুরু

মাসব্যাপি সহায়িহয় বিত্রিম্ন মহিষ,গরু।

যোগাযোগ খুবই ভাল রেলপথে চলাচল

প্রয়োজনে আনতে পারেন বাসযোগে মালামাল।

 দূর থেকে পশু আসে বহু লোক সমাগম

দূরের লোকতাবু খাটায়বাজার হয় গরম।

আইনশৃংখলা খুবই ভালো নিকটে আছে থানা

থাকা খাওয়ার ব্যবসহা আছে কোন সমস্যা হয়না।

 যাদুর খেলা বর্শা নিক্ষেপ বিনোদন যাত্রা সার্কাস

মৃত্যুকূপে মোটর সাইকেল চারচরকি পুতুল নাচ।

ছোটকালে মেলায় যেতাম সাথে চাল,খড়ি

বাজার করতাম বড় মাছ খাইতাম রান্না করি।

 দিনের বেলা সার্কাস খেলা দেখতাম ভালুক,হাতি

সন্ধ্যাবেলা সিনেমা দেখতাম যাত্রা সারারাতি।

খরচ করতাম জুতামোজা শিশুর ব্যাঙগাড়ি

সকাল বেলা মিষ্টি কিনে ফিরে আসতাম বাড়ি।

বহুদল বহুমতের হানাহানি কোন্দলে

মেলার ঐতিহ্য রঙ,তামাশা ক্রমে যাচেছ চলে।

সু প্রসিদ্ধ বদরগঞ্জ মেলার কেন ঐতিহ্য নাই ?

হারানো গৌরব ফিরায়ে আনতে একত্রিতহন সবাই।

 

শিতকাল

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

শিতকালে ঠান্ডা লাগে সবাই জড়সড়

নিঃস্ব ,গরীব,বস্ত্রহিন কাঁপে থরথর।

শিতে কাঁপে থরথর দেহে নেই কাপড়

তারাও মোদের আপন জন চায় সবার আদর।

শাক্সব্জি ফলমূল উৎপাদন হয় প্রচুর

ভিটামিনের অভাব মেটায় আমিষে ভরপুর।

শুকনো গাছ সজিব হয় রসের গাছ খেজুর

রস দিয়েতৈরিহয় মিষ্টি খেজুর গুড়।

শিতকালিন ভাপাপিঠা আরো গড়গড়ি

খেতে বেশ মজা লাগে আগুন দিয়ে পুড়ি।

কুয়াশায় ঢাকা  থাকে সূর্যের আলো নাই

শিতের বন্ধু কাথা ,কমবল পাশে থাকা চাই।

শিত এলে বস্ত্র বিনা গরীবের বাড়ে যন্ত্রনা

ধনি লোক সাহায্য দিলে কষ্ট তাদের হয়না।

 

 

 

ইট ভাটা

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

ঘরবাড়ি পাকাকরণে ইটের প্রয়োজন

ইট ছাড়া রাসতা সেতুর হয়না উন্নয়ন।

কাঁচা ইট পোড়াতে হলে ইটভাটার দরকার

নিতিমালা প্রণয়ন করেন বাংলাদেশ সরকার।

বর্তমানে রমরমা ইটভাটার ব্যবসা

অনেক লোক কর্মরতপ্রচুর টাকা পয়সা।

ভাটা নির্মাণ করতে হবে লোকালয় থেকে দূরে

কয়লা দিয়ে পোড়াতে হবে ধোঁয়া যাবে উপরে।

ইটভাটার কালোধোঁয়ায় পরিবেশ হয় দূষন

জীব বৈচিত্র হুমকিতে পড়ে অবশেষে হয় মরন।

ধানের শিস চিটা হয়ইটভাটার আশেপাশে

ডাবের ভিতর পানি নেই ফলন কমে আমগাছে।

পক্ষিকুলের ডিম ফোটে না হয়না প্রজনন

গাছ থেকে ঝরে পড়ে সুপারির হয়না ফলন।

পরিকল্পনা অনুযায়িকাজ করলে সবাই হবে লাভবান

দেশ জাতি উপকৃত হবে উন্নয়ন হবে বেগবান।

নিয়ম ছাড়া যত্রতত্র গড়ে উঠলেইটভাটা

নানা রোগে আত্রুান্ত হয়ে লোকের বাজেবারোটা।

ভাটাসহ কারখানার ধোঁয়া স্বাসেহ্যর জন্য ক্ষতিকর

কর্তৃপক্ষ আইন বাসতবায়নে ব্যাবসহানিবেন কার্যকর।

 

 

শিক্ষা

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড বলেন গুণিজন

শিক্ষা ছাড়া দেশ,জাতির হয়না উন্নয়ন।

কৃষিকাজ করতে গেলেও দরকার শিক্ষার

কোন জমিতে কি পরিমাণ দিতে হবে সার।

ডিজিটালের জমানায় শিক্ষা ছাড়া চলেনা

চোখ থাকতে অন্ধ বলে শিক্ষা যার থাকেনা।

প্রকৃত শিক্ষা না নিয়ে যদি করেন নকল

বাসতবজীবনে পসতাতে হবে কাজে হবে বিফল।

মোবাইল,টেলিভিশন,কম্পিউটার অধুনা সব যন্ত্র

পরিচালনা করতে গেলে লাগে শিক্ষার মন্ত্র।

শিক্ষার জন্য বই, পুসতক ফ্রি দিয়েছেন সরকার

আরও করেছেন নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার।

মুখে মুখে হাতে কলমে করুন শিক্ষার জ্ঞান

অক্ষর জ্ঞান শিক্ষার জন্য যান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

 

হোটলের হালচাল

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

যত্রতত্র হোটেল নির্মাণ খাবার মান নাই

পানির গ্লাসে হাত ঢোকায় সেই পানি খাই।

তৈরী খাবার খোলা থাকে তাতে পড়ে মাছি

সেই খাবার খেতে দিলে চলে যায় রুচি।

তোলা পানি পান করায় ঠান্ডা লাগে শীতে

গরমকালে খাবার দিলে পানি যায় তেতে।

খাবার খেতে আসি যখন টেবিল থাকে নোংরা

টেবিল সাফ করার জন্য কারুর নেই তাড়া।

একই লোক খাবার দেয় টেবিলও সাফ করে

এরুপ অবসহা দেখে কেউ পুনঃ আসবেনা ফিরে।

গ্লাস হবে চকচকে স্বচছ ও পরিস্কার

একবার পানি পান করিলে ইচেছ হবে বারবার।

কারুর চা পাঁচ টাকা কারুর দোকানে চার

ক্রেতাগন সুবিধা চায় অল্প টাকায় খাবার।

নিত্য নতুন গরম খাবার করতে হবে আয়োজন

দূর থেকে খাবার খেতে ছুটে আসবে লোকজন।

খোলাবাসি ভেজাল খাবার পরিবেশনে মানা

মোবাইল কোর্টে ধরা পড়লে দিতে হবে জরিমানা।

পরিবেশনকারি পরিপাটি কাপড় থাকবে পরিস্কার

বিনয়,নম্র,ভদ্র হবে মালিকের ব্যবহার।

 

আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

কৃষক তারে বলে, যে জমি চাষ করে

খাদ্যের যোগান দেয় সকলের ঘরে ঘরে।

কৃষি দেশের চাকিাশক্তি মোরা কৃষকের সন্তান

দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধিতে রাখছে বিরাট অবদান।

কৃষকের সংখ্যা বাংলাদেশে শতকরা আশি ভাগ

সমস্যা সমাধানে সরকারের দৃষ্টি চাই সজাগ।

খরা বন্যায় কৃষকের  হয় অপুরনিয় ক্ষতি

ফসল উৎপাদনে তারা স্বিকার করে না নতি।

গ্রিস্মের প্রচন্ড রোদে জমিতে হয় নাকাল

বৃষ্টির পানিতে ভিজে তারা কষ্টে বয় হাল।

সারাবছর জমি চাষে উৎপাদন করেন ফসল

দেশের ভাবমূর্তি উজ্জবল করতে তারাই মোদের বল।

কৃষক বোঝে না রাজনীতি চায় নিরাপদ জানমাল

ফসল নিয়ে বিপাকে পড়ে যদি থাকে হরতাল।

সাদা মনের লোক তারা নেইযে হানাহানি

নির্বাচনের গোলযোগে করে কানাকানি।

নিজের প্রয়োজনে আবাদ করে দেশের কাজে লাগে

ভালো মন্দদেখতে হবে কৃষকের কথা আগে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পুরনো ঐতিহ্য

 

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

স্টেশন রোডের উত্তর ধারে হাছিনা ঔষধ ঘর

লোকজন ঔষধ নেয় না, দেখে টিভির খবর।

ঔষধপত্র আছে কি না, খালি র‌্যাকের সারি

বেচা কেনা যেমন তেমন করেন বাবুগিরি।

রোডের ধারে দোকান ঘর ভিতরে থাকার বাসা

দোকান ঘরের আয় দিয়ে বেঁচে থাকার আশা।

হাছিনা প্লাজা নির্মাণ পূর্বক অর্ধেক দেন ভাড়া

ডাক্তারের মত ঔষধ নিয়ে করেন নাড়াচাড়া।

মনজুরুল হক নাম তার, সবার সাথে মিশে

সমস্যা নিয়ে কাছে গেলে পরামর্শ দেয় হেসে।

সব সময় পাজামা-পাঞ্জাবি জাতীয় পোশাক পরে

পুরনো ঐতিহ্য কাঠের খড়ম এখনও রেখেছেন ধরে।

 

 

 

 

 

 

শহরের হালচাল

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

মানুষের প্রয়োজনের তাগিদে গড়ে উঠে শহর

দৃষ্টিনন্দন অট্টালিকা সকলেরকাড়ে নজর।

অল্প জায়গায় বেশিবাড়ি দালান সারি সারি

যখন তখন গাড়ির শব্দে কর্ণহয় ভারি।

গাড়িগুলো দ্রুত চলে সব রাসতা পাকা

হাতের কাছে জিনিষপত্র নিশ্চিন্তে যায় থাকা।

বিভিন্ন রকমের পেশাজিবি শহরে বাস করে

দৈনিক আয়ে জীবনযাপন ব্যবসা পেশা ধরে।

কলকারখানার কালোধোয়ায় অবিরত বায়ুদূষন

উচচ শব্দেমাইকিংসহ গাড়ির হর্ণে শব্দদূষন।

রাতের কালো বুঝা দায়সব সময় আলো

অল্প শ্রমে বেশি আয় সংসার চলে ভালো।

গভির রাত পর্যন্ত যত্রতত্র লোক জমজমাট

লোকেরভিড়ে রাসতাগুলোয় থাকে যানজট।

রাসতাসব পারাপারে হতে হবে সাবধান

অসাবধানতায় পিষ্ট হয়ে অনেকে প্রাণহারান।

হাট বাজার গড়ে উঠে অফিসওকারখানা

সরকারিভাবে অপসারিত বর্জ্যসহ আবর্জনা।

নোংরা জলে পাকা ড্রেন যদি থাকে ভরা

শহরের বায়ু দুয়িত হয় যায়না বাস করা।

 

গণতন্ত্রের খারাপ নজির

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

মানুষের মাথা নষ্ট হলে হয়ে যায় পাগল

লেখাপড়ায় খারাপ হলে করে শুধু নকল।

শরীর পচা রোগ হলে তারে বলে ক্যামসার

এ রোগের ঔষধ নেই চলে যায় পরপার।

অমধ তারে বলে নষ্ট হয় দৃষ্টি

জন্ডিস রোগ হলে রক্ত হয় দুষ্টি ।

 একজনের ভোট অন্যে দিলে সেটা হয় জাল

খারাপ চোখে নারী দেখলে তারে বলে মাল।

কথায় কাজে মিল নেই মানুষ হয় ভূয়া

অন্যের বাড়িতে কাজ করে বধু হয় বুয়া।

বায়ুদোষে মাথার চুল উঠে হয় ন্যাড়া

চলাচলে অসুবিধা হয় পাঁ নেই ল্যাংড়া।

চোর ডাকাতের সাথে ঘোরে মানুষ হয় খারাপ

কাগজের পাতা নষ্ট হলে তারে বলে রাফ।

ফলমূল নষ্ট হলে সবাই বলে পচা

রসুন পিঁয়াজের ভূয়া আবরনের নাম খোসা।

নষ্ট নকল যাই বলুন খারাপ মেকি সোনা

কিছুদিন পর সেই সোনায় রঙ থাকে না।

রাজনিতিবিদ নষ্ট হলে বদল করে দল

গণতন্ত্রের খারাপ নজির সৈনিকের গদি দখল।

 

 

 

টেলিভিশন

(রেজাউল ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

 

 প্রযুক্তিরদুনিয়ায় আশ্চর্য যন্ত্র টেলিভিশন

ছায়ার মত প্রতিনিয়ত ছবি হয় প্রদর্শন।

ইতিহাস,ধর্মিয়, বিনোদন প্রচার বিভিন্ন খবর

অনুষ্ঠান বেশ ভালো লাগে যদি পড়ে নজর।

ঘরের ভিতর টি,ভি থাকে বাইরে থাকে এণ্টেনা

রিমোট কণ্ট্রোল চাপ দিলে শুরু হয় বাজনা।

লেখাপড়ার ক্ষতি হয় যদি থাকে টি,ভি

টিভির অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে সবাই দেখে সিডি।

বিটিভিতে সিমিত প্রচার চ্যানেল দিবানিশি

ভালো মন্দ দুই’ই থাকে মন্দের ভাগ বেশি।

আবাসন

 (রেজাউল করিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

সরকারি খাস জমিতে নির্মিত হয় আবাসন

নিঃস্ব,গরিব,গৃহহিনকে তথায় করে পূনর্বাসন।

টিনের বেড়া,টিনের চালা আছে গোড়া পাকা

সরকার কর্তৃক জমি দান, নিশ্চিন্তে যায় থাকা।

থাকার জন্য একটি ঘর রান্নার জন্যঘর

সমাজবদ্ধ বাস করে নেই কোন ডর।

জীবন মান উন্নয়নে এনজিও কাজ করে

কবরসহান থাকা দরকার যদি লোক মরে।

নিরক্ষরতা দূরিকরনে স্কুল থাকা চাই

একত্রিত হওয়ার জন্য, হলরুম আছে ভাই।

খেলার জন্য মাঠ দরকার আছে দিঘি পুকুর

পুকুর থেকে মাছ খাবে আমিষ পাবে প্রচুর।

সহায়িভাবে বসবাসের জন্য যা কিছু দরকার

 স্বাসহ্য সম্মত লেট্রিনসহ সব দিয়েছে সরকার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভালবাসা

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

স্রষ্টার ভালবাসা সৃষ্টিকে লালন পালন

মায়ের ভালবাসা সন্তানেরআদর যতন।

 

ছেলে-মেয়ের ভালবাসা পরিনাম পরিণয়

আত্নিয় স্বজনেরভালবাসা কুশল বিনিময়।

 

নামে নামেভালবাসা অবশেষে মিতা

রোদ বৃষ্টির ভালবাসা মাথায় ছাতা।

 

পুরুষে পুরুষে ভালবাসাবমধুর বন্ধন

শিতের ভালবাসায় কাপড়ের প্রয়োজন।

 

নারী নারীভালবাসা সখি বা বান্ধবি

ভালবাসার উপহারে ফুল করোবি।

 

মেঘে মেঘে ভালবাসাপ্রচন্ড গর্জন

সন্তানকে ভালবাসা কপালে চুম্বন।

 

স্বামী স্ত্রীর ভালবাসামধুর মিলন

সুখী হয় সকলের সংসার জীবন।

 

অফিসারের ভালবাসা  সম্পর্ক মধুর

উপসিহত না হয়েও ছুটি মঞ্জুর ।

 

অফিসের ভালবাসা নিয়মিত আগমন

সুষ্ঠুভাবে কাজ শেষে সময়মত গমন।

 

আল্লাহকে ভালবাসা নিরালায় ডাকা

দেশকে ভালবাসা দেশপ্রেম থাকা।

 

চোরের ভালবাসা অতিশয় ভক্তি

দেশে দেশে ভালবাসা মৈত্রি চুক্তি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ছোট নদী

(রেজাউলকরিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

বাড়ির পাশে ছোট নদী বয়ে চলে নিরবধি

উজান থেকে ধেয়ে আসে মমথর তার স্রোতগতি।

 

বর্ষাকালে ভরাগাঙ্গে পাল তুলে নৌকা চলে

জেলেরা মাছ ধরে মাঝ নদীতে জাল ফেলে।

 

একূল ভাঙ্গে, ওকূল গড়ে এইতো নদীর খেলা

সকাল বিকাল উভয় তীরে লাগে মিলনমেলা।

 

গাঁয়ের বধু নদীর ঘাটে কলসি কাঁখে যায়

দুষ্ট ছেলে বারে বারে তারে ফিরে চায়।

 

এপার থেকে ওপার যেতে নৌকায় পারাপার

বানের পানিউপচে পড়া দেখতে চমৎকার।

 

পানির সাথে পলি আসে জমি হয় উর্বর

সেই জমিতে ফসল ফলায় গরীব তালেবর।

 

পাড় ভাঙ্গে যখন তখন ঘাট বদলের পালা

যাতায়াতে দূর্ভোগ বাড়ে আরো বাড়ে জ্বালা।

 

নদী ঘিরে মাছ ধরে জেলে পরিবার

জীবন মান উন্নত হয় উন্নত সংসার।

 

ছেলেরা নদীর জলে বার বার সাঁতার কাটে

পরিবার নিয়ে মোদের দুঃখ সুখে জীবন কাটে।

 

 

 

ব্যবসা

(রেজাউল করিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

পণ্য কেনা পণ্য বেচা এর নাম ব্যবসা

লাভ,ক্ষতি পাশাপাশি লাভের বড় আশা।

 

সুদ,ঘুষ হারাম জানি ব্যবসা পেশা হালাল

ওজন,মাপ বেশ,কমে নরক বাস পরকাল।

 

পণ্য কিনে মজুদ করে নাম মজুতদার

সকল পণ্য বেচা-কেনায় খুচরা দোকানদার।

 

আমদানি কমে গেলে পণ্যের কদর বাড়ে

বাজারে সংকট করেমজুতদার মাল ছাড়ে।

 

অবৈধ পণ্য বেচা,কেনা চোরাকারবারির কাজ

দেশ,জাতির বড় শক্র নেইকো তাদের লাজ।

 

সুপারির গা,পানের শও,কাপড় গজ,মিটার

ধান,চাল কেজির ওজন তরলপণ্য লিটার।

 

প্যাঁচকাটা তারকাঁটা বিক্রি ডজন,গ্রোস

হোমিওপ্যাথি ঔষধ বিক্রি তরল,বড়ি আউন্স।

 

গাছের গুড়ি,সিএফটি বিদ্যুৎ কিলোওয়াট

প্রচুর পণ্য বিকিকিনি ব্যবসা জমজমাট।

 

কাগজ পাতা রিম,দিসতা টিনের বেলায় বাইন

হাট,বাজারে পণ্য দ্রব্য বিক্রিরএই আইন।

 

ডিম,কলা হালি দরে ক্যারেট গিনি সোনা

পণ্য দ্রব্যের ওজন মাপসবার কিছু জানা।

 

চোরাকারবারি মজুতদার,কালোবাজারি আড়তদার

মহাজন,ফড়িয়া ব্যবসার সাথেকয়ালদার।

 

মদ,জুয়া,ভাঙ,গাঁজা জম্মায় বদ নেশা

শেষকালে সর্বনাশা,হারাম পন্যেরপেশা।

 

 

 

একজন করিম শেখ

(রেজাউল করিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

করিম শেখের আদি বাস উলিপুর কুড়িগ্রাম

জায়গা,জমি রয়েছে প্রচুরতার সুনাম।

 

ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে ভিটে ছাড়া যার

বদরগঞ্জের বালুয়াভাটায় সহায়ি বসত তার।

 

এক  ছেলে দুই  মেয়ে  স্ত্রী, পরিবার

সব লোকের সাহায্য দানে চলে সংসার।

 

চাকুরি খোঁজেকরিম শেখ অফিস পাড়াঘোরে

সকাল বিকাল অফিস গমন ২৫ বছর ধরে।

 

উমেদারি কাজ করে বেতন নাহি পায়

দর্শনার্থীর দেখা পেলে দু‘চার টাকা চায়।

 

চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারির ছুটি দরকার হলে

করিম শেখের দায়িতব পালন তাহার সহলে।

 

করিম শেখ গরীব লোক সবাই চেনা তার

বেতন তুলে সাহায্য করেন অফিসে সব স্যার।

 

অফিস কাজে ডাক দিলে সহজে দেখা মেলে

পত্র বিলির দায়িতব পান জাতীয় দিবস এলে।

 

অনেক পত্র তারে দিলে এলোমেলো করে ফেলে

একের পত্র অন্যকে প্রদান গালি দেন মূর্খ বলে।

 

লেখাপড়া কম জানে সাদা মনের লোক

জানে শুধু স্বাক্ষর আর টাকা নেয়ার ঝোঁক।

 

অনেক গালি খেয়েও অফিস ছাড়েনি

নেই কাজে অলসতা নেই দুঃখ -গ্লানি।

 

তার কাজের মূল্যায়ন সকল সুবিধা পান

রিলিফ, বয়স্ক ভাতা, সরকার কর্তৃক প্রদান।

 

 

 

হরতাল

(রেজাউল করিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

রাজনীতির গোলমাল আহবান হরতাল

দুই দল গালাগাল সংঘর্ষ চিরকাল।

 

হর মানে প্রতি ,তাল হয় ফল

হরতালের অধিকার শুন্য নিস্ফল।

 

আহবান হরতাল পরীক্ষা বান্চাল

তরকারি কাঁচামাল বাজারবে সামাল।

 

যানবাহন চলাচল,ভাংচুর কোলাহল

নির্বাচন দোলাচল উন্নয়ন রসাতল।

 

মুখোমুখি গন্ডগোল দুই জোট দুই দল

পিকেটিং দলবল রাজপথ বে দখল।

 

ব্যবসায়ি নাকাল পরিবহনে মালামাল

দোকান পাট অচল গাড়ীসব বিকল।

 

হরতালে পয়মাল শাকসবজি ফলমূল

আমেদালন, মিছিল, জনসভা ভন্ডুল।

 

হরতালে দুই দল মারামারি কোন্দল

হাতবোমা, ককটেল পিকেটিং এ পিসতল।

 

 

বিফল হলেও সফল এ কেমন হালচাল

উন্নয়ন থেমে নেই হরতালেও সফল।

 

 

 চাকুরি

(রেজাউল করিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

জীবিকার তাগিদে মানুষ খোঁজে উন্নততর পেশা

লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই চাকুরিদেয় সেই দিশা।

 

রোদ বৃষ্টিতে ক্ষতি হয় নাসরকারি চাকুরি

৯টা  ৫টা দায়িতব পালন বড়ই বাবুগিরি।

 

মাস শেষে, বেতন আসে নেই কোন ভাবনা

৫৯ বছরে অবসর গ্রহণ নিয়ম করেন হাসিনা।

 

ঈদুল আজহা,ঈদুল ফেতর, উৎসব ভাতা মুল বেতন

তিন বছরে পনের ছুটি ভাতা পান শ্রান্তি বিনোদন।

 

আট বারো পনের বছরে টাইম স্কেল প্রদান

মহিলা চাকুরেছয়মাসের মাতৃতবছুটি পান।

 

২০দিন নৈমিওিক ছুটি, বছর বছর বেতন বৃদ্ধি

শুত্রম্ন শনি অফিস বন্ধসপ্তাহে দুই দিন ছুটি।

 

অফিস প্রধান ক্ষমতাবান, সবকিছু তাঁর নিয়ন্ত্রন

ফাইল নোটে অফিস সহকারির প্রসতাব প্রয়োজন।

 

 

চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি পদগুলো একটু বলি

গার্ড,ফরাস,মশাল্চি, ডোম বাগান মালি।

 

ভিন্ন পদ চতুর্থ শ্রেণি,নিম্নপদসহ কর্মচারি

প্রসেসসার্ভার,নাইট গার্ড,চেইনম্যান দপ্তরি।

 

খালাসির কাজ লাইন পরিস্কার আরো পয়েণ্টম্যান

বড় কর্তার সাক্ষাৎ ঘটান অফিসের দারোয়ান।

 

ডুপ্লিকেটিং মেশিন অচল প্রচলন ফটোকপিয়ার

ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর চালান কম্পিউটার।

 

হাসপাতালে রোগির সেবায় আয়া ওয়ার্ড বয়

বাঁচা মরার সন্ধিক্ষণে তাদের সাক্ষাৎ হয়।

ব্যাংকের সব চিঠিপত্রবিলি করেন ম্যাসেঞ্জার

ডাকবাংলোয় পাহারারত পরিষদের কেয়ারটেকার।

অফিস আদালত পরিস্কারে প্রয়োজন ঝাড়ুদার

প্রাণি সম্পদ অফিস ঘিরে কাজ করেন ট্রেচার।

 

রান্না-বান্নায় জুড়ি নেই বাবুর্চির অবদান

কাজ করেন এমএলএসএস তবুও অপমান।

 

কর্মচারির মূত্যু হলে স্বামী  সী¿একজন

ওয়ারিশ সুত্রেসারা জীবন পেনশন উত্তোলন ।

 

 

 

 

 

বৈষম্য

(রেজাউল করিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

কর্মকর্তা কর্মচারি, একই অফিসে কাজ

সকলেই সহযোগি, নেই কোন লাজ।

 

অফিসের বড় কর্তা, বেশিবেতন পান

তাই দিয়ে মাসব্যাপিসংসার খরচ চালান।

 

আনুষাংগিক, ভ্রমন ভাতা, কর্মকর্তা পায় সুবিধা

বেগার খাটে কর্মচারি, নইলে নানা অসুবিধা।

 

কর্মকর্তার ইচছার উপর, কর্মচারির চাকুরি

অকারনে ধমক দেয়, আরো করে বদলি।

 

বড় কর্তার কাজ নেই, কর্মচারি ছাড়া

নির্দেশনা বাসতবায়ন, হয়না তাঁর দ্বারা।

 

স্কেলবৃদ্ধি একশো টাকা ইনক্রিমেমট আড়াই শো

চতুর্থ শ্রেণির অর্থ বৃদ্ধি অন্লি ফর  শো।

 

কর্তার বাড়ে হাজার টাকা, কর্মচারির বাড়ে শত

ইনক্রিমেমট, বেতন স্কেলে বৈষম্য আরো কত।

 

পোষাক সহ নাওয়া খাওয়া অর্থ খরচ সমান

মাসিক বেতন ভিন্নতর কেমনে তাল মিলান ?

 

পরিবারে লোক সংখ্যা, শিক্ষা সহ  চিকিৎসা

বাজার খরচ এক রকম পার্থক্য টাকা পয়সা।

 

দির্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অব্যবসহা

সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার নেবেন ব্যবসহা ।

 

 

 

দূর থেকে দেশ

 (রেজাউল করিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

 

হ্যালো  দিয়ে শুরু, ঠিক আছে শেষ

অ সাক্ষাতে কথাবার্তা দূর থেকে দেশ।

 

দেশে দেশে কথা বলা মাধ্যম মোবাইল সেট

প্রতি মিনিটে টাকা লেস যখন যেমন রেট।

 

ডায়াল কল,রিসিভ কল কথা হয় দুই কলে

সর্বমোট তিন কল অর্থ বাঁচে মিস্ কলে।

 

মোবাইলে ভিডিও হয়,শুনা যায়গান

পরীক্ষার ফল নিশ্চিত হতে এসএমএস পাঠান।

 

ছেলে মেয়ে মোবাইলে প্রেম করে চুপিসারে

নামঠিকানা জেনে নেয় সকলের অগোচরে।

 

আত্নিয় বাড়ি না গিয়ে মোবাইলে কথা হয়

ভালোমন্দ,খোঁজ খবর কত কথা বিনিময়।

 

দ্রুত অর্থ প্রেরণে মোবাইল ব্যাংকিং,মানি অর্ডার

বিকাশ কেন্দ্রে লেন দেন,সব করেছেন সরকার।

 

 

 

 

 

 

 

 

শ্রমিক

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

দৈনন্দিন কাজ করে চলে যাদের জীবন

শ্রমিক হিসাবে যাবতিয় কাজ করে সম্পাদন।

সকাল হলে বেরিয়ে যান করে কাজের সন্ধান

কখন বাড়ি ফিরে আসবে তাকিয়ে থাকে সন্তান।

নিজের সম্পদ নেই তাই অন্যের জমিতে খাটে

রোগাক্রান্ত শরির নিয়ে কষ্টে দিন কাটে।

কোনদিন কাজ মিলে কোনদিন মিলে না

কাজ ছাড়া আয় নেই নাওয়া খাওয়া হয়না।

রক্ত মাংসের দেহ খানি করে কত খাটুনি

সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন আছেন যত ধনী।

বাঁচার জন্য প্রানান্ত চেষ্টা একটু সহায়তা চায়

শ্রমিক শুধু খেটেই যায় বেঁচে থাকার আশায়।

মোটা ভাত মোটা কাপড় একমাত্র চাওয়া

কাজ পেলে বেজায় খুশিএটাই পরম পাওয়া।

রোগে শোকে পড়ে থাকে যদি কোন একদিন

পরিবারের খোঁজ খবর কেউ নেয়নি কোনদিন।

মানব সন্তান সবাই সমান একই রকম জম্মগ্রহণ

কাজের মধ্যে রহমত হয় ভাগ্যের হয় পরিবর্তন।

 

 

একজনগায়ক

 

বাঁচার জন্য খেতে হয়,খাওয়ার জন্য পেশা

সহায়ি পেশার আয় দিয়ে বেঁচে থাকার আশা।

গান-বাজনা ছিলপেশা,কুদ্দুস ভাইয়ের নেশা

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা পূর্ব পুরুষের বাসা।

কুদ্দুস গায়ক দেখতে নায়ক শংকরপুরে বাড়ি

বিয়ে-শাদীরকিছুদিন পর হয় ছাড়াছাড়ি।

হিন্দুর মেয়ে প্রেমের বিয়ে মাধবী তার নাম

পিতা মাতা ছাড়িয়ে নেয় যায় নিজ ধাম।

সেই থেকে গায়ক সাহেব করে নাই বিয়ে

প্রেম বিরহে দিন কাটে গান বাজনা নিয়ে।

এককালে রেডিওতে অনেক গায় গান

জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া গান লমবা দিত টান।

গানের টানে বুকের মাঝে ভীষন ব্যথা পায়

গান গাওয়া ছেড়ে দেয় ব্যথা থেকে যায়।

পাকিসতান আমলে আই,এ পাশ বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞান

জায়গা জমি ছিল তার সবাই রাখতোমান।

নিত্যদিনে প্রাইভেট পড়ায় বদরগঞ্জ শহরে

প্রাইভেটের আয় দিয়ে অভাব মোচন করে।

রোগে শোকে বর্তমানে শরির কংকালসার

ভাতিজাদের সাথে নিয়ে জীবন কাটে তার।

 

 

 

 

নির্বাচন

(রেজাউল করিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

বাংলাদেশে বিরাজমান রাজনিতির হালচাল

নির্বাচন ঘনিয়েএলে শুরু হয় গোলমাল ।

সুষ্ঠুভাবেদেশ চালনায় রাজনৈতিক দল প্রয়োজন

জনগণের কল্যাণে হবে যাবতিয় নিতি নির্ধারণ।

সরকার বদলের একমাত্র পথ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন

নির্বাচনে জয়িদল দেশ করবে পরিচালন।

দেশ চালাতে সরকার অনুসরন করেন সংবিধান

তথায় প্রণিত আছে দেশের সব বিধিবিধান।

গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় নির্বাচন দরকার

ভোট নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার।

বিরোধিদল দাবিতোলে তওবাবধায়ক সরকার

দাবিআদায়ে জাতীয় সম্পদ পুড়ে করে ছারখার।

জ্বালাও,পোড়াও অবরোধ,আরো দেয় হরতাল

যানবাহনে বোমা ছুঁড়ে ক্ষতি করে জানমাল।

রাজনৈতিক দলগুলো যদি চায় কল্যাণ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ দিতে পারে সমাধান।

 

 

 

রুপ ,বৈচিত্রে বাংলাদেশ

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

ভবের মাঝে বাহারি সাজে প্রিয় ভূমি বাংলাদেশ

পাহাড়,পর্বত নদী ঘেরা কত সুন্দর পরিবেশ।

শাহ্জালাল (রঃ) এরপূণ্যভূমি সিলেটে চা বাগান

পাহাড়, টিলায় ভরপুর রাঙ্গামাটি,বান্দরবন।

ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনেবিভিন্ন প্রাণির বসবাস

রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিশ্ববিখ্যাত ইতিহাস।

দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা ও কক্সবাজার

প্রাচিন মসজিদ ষাটগমবুজ খানজাহান(রঃ)এর মাজার।

নভেল জয়ি,‘‘জুলি ও কzুর’’পদকধারিএই দেশে

এমডিজি,সাউথ সাউথ,সেরেস পদক পাই শেষে।

সারাবিশ্বে কেউ দেয়নি ভাষার জন্য জীবন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তাও মোদের অর্জন।

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ঋতুর বদল হলে

পরিবেশ পরিবর্তনহয় বিভিন্ন ফসল ফলে।

মাটির নিচে অমুল্যধন বড়পুকুরিয়ারকয়লা

 তিতাসে আছে প্রচুর গ্যাস মধ্যপাড়া কঠিন শিলা।

বারোমাস ফসল ফলে মোদের মাটি সোনা

বহুরুপবৈচিত্রে ভরা মাতৃভূমি স্বদেশ খানা।

 

 

দেশটাকে ভালবেসে

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

গড়তে চাই ভালভাবে দেশটাকে ভালবেসে

কাজ করি মিলেমিশে জাতি,ধর্ম নির্বিশেষে।

রবিন্দ্রনাথ, ডঃ ইউনুস নভেল প্রাইজ পান

‘‘জুলি ও কুরি’’ শেখ মুজিব বাংগালির সন্তান।

ইব্রাহিম, নিশাতের এভারেস্ট জয় দেশের বিরল সম্মান

বিশ্ব সেরা অলরাউল্ডার সাকিব আল হাসান।

সালাম,বরকত, জববার ভাষার জন্য রক্তদান

দেশটাকে ভালবেসে মতিউর প্রান হারান।

উন্নয়ন সমৃদ্ধিতে জাতিসংঘের পদক প্রাপ্তি

বহির্বিশ্বে সুনাম বৃদ্ধি মোরা বাঙ্গালিজাতি।

দেশ আমাকে কি দিয়েছে বড় কথা নয়

দেশের জন্য কি করছি ভাবার এখন সময়।

জানমালের ক্ষয়ক্ষতি গদি নিয়ে গোলমালে

উন্নয়ন রসাতল যখন তখন হরতালে।

মাতৃভূমি সবার প্রিয় তার ক্ষতি চলবেনা

দেশের ক্ষতি করে যারা তাদের ঠাঁই হবেনা।

ক্ষমতার পালাবদলে সরকার হয় পরিবর্তন

দেশ নিয়ে ভাবতে হবে কেমনে হবে উন্নয়ন।

 

মুজিবের মতো

 

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

মুজিবের মতো চাই যোগ্য, সন্তান ঘরে ঘরে

যে কিনা স্বাধিন সার্বভৌম দেশ, উপহার দিতে পারে।

শেরে বাংলা, সোহ্রাওয়ার্দি মওলানা ভাসানি

স্বাধিন,সার্বভৌম বাংলাদেশ কেউ দিতে পারেনি।

তোমার কৌশল বুঝতে পারেনি হিংস্র শাসক দল

সাতই মার্চের অমর বাণী জোগায় শক্তি বল।

শেখ মুজিবের নেতৃতেব বাংলাদেশের অভ্যুদয়

দেশ,জাতি,ভাষার নাম মানচিত্রে যুক্ত হয়।

জম্ম নিয়ে এই দেশে, কথা বলেছি বাংলায়

ভাষার জন্য তোমার অবদান রয়েছে বিশ্বসভায়।

জাতীয় সংগিত, জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা

সেই কারনে শেখ মুজিব বাংগালি জাতির পিতা।

স্বাধিনতা পেয়েও অধিনের মত রয়ে গেলাম ঘরে

তুমি বিহনে দিশেহারা হলাম ৭৫ সালের পরে।

দির্ঘদিন পরে উজ্জিবিত হই ক্ষমতায় তোমার মেয়ে

বাঙ্গালি জাতি গর্বিত আজ জাতিসংঘ পদক পেয়ে।

এমডিজি,সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড আরো কত

জাতিসংগে পদক পায়নি কেউ হাসিনার মত।

 

 

 

 

গর্বিত উত্তরসূরি

 

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

হে মানব,বিশ্বের ইতিহাসে তুমি মহিয়ান,গরিয়ান

 টুঙ্গিপাড়ার খোকা তুমি শেখ মুজিবুর রহমান

শোষিত নিপিড়িত জাতির পক্ষে আজিবন বলেছো কথা

ছাত্রাবসহা থেকে নেতৃতব দিয়ে হয়েছো জাতির পিতা।

গণমানুষের আন্দোলনে জেলে কাটিয়েছো ১৪টি বছর

দুঃখ দুর্দশা জানারজন্য করেছো বিভিন্ন এলাকা সফর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারিদের আন্দোলনে একাতব হয়েছিলে তুমি

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলে সেকথা আমরা শুনি।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তোমার অমর বাণী বজ্রকমঠ

আবাল,বৃদ্ধ,বনিতা সবাই হয়েছিল উদ্দিপ্ত ।

অনেক অত্যাচার সহ্য করেও জাতিরকথা ভেবেছো শুধু

সেই কারনে লাখো বাঙ্গালিউপাধি দেয় তোমাকে বঙ্গবন্ধু।

পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠিতোমাকে মারার জন্য কবর খুঁড়ে

লাশ ফেরৎ দিতে বলেছিল বাঙ্গালি ও বাংলারতরে।

জাতিসংঘে বাংলা ভাষণমোদের বিরাট অর্জন

রাজা না হয়েও তুমি পেয়েছো রাজকিয় সম্মান ।

বিশ্বে যতসব উপাধি তার মধ্যে ‘‘জুলি ও কুরি’’

এ বিরল সম্মান অর্জন করায় গর্বিত আমরা উত্তরসূরি।

 

বুদ্ধিজীবি স্মরনে

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

বুদ্ধিজীবি যারা, জ্ঞানে ভরা তারা

১৪ডিসেমবর ৭১,পরিবার পরিজন হারা।

তাঁদের মাধ্যমে হত, দেশ-জাতি উপকৃত

দেশের সমস্যা সমাধানে তাঁরা পরামর্শ দিত।

মুক্তিযুদ্ধে উদ্ধুদ্ধ করতে লেখেন কবিতা গান

সারাবিশ্বে জনমত সৃষ্টিতে রেখেছেন অবদান।

পাকবাহিনি বুঝতে পারে দেশ স্বাধিন হলে

দেশ চালাতে স্বার্থক হবে তাঁরা বেঁচে থাকলে।

দেশকে মেধাশুন্য করতে তাই ১৪ ডিসেমবরে

মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে তাদের হত্যা করে।

যাঁদের আত্নত্যাগে দেশ স্বাধিন তাঁদের ভূলবো না

পরপারে সুখে থাকুক শুধুইকরি প্রার্থনা।

 

একুশে ফেব্রুয়ারি

 

প্রতি বছর একুশ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহিদদের স্মরি

তাঁদের স্মরণে আনাচে কানাচে শহিদ মিনার গড়ি।

ভাষার জন্য পশ্চিমা শাসক কেড়ে নিয়েছে প্রাণ

সালাম,বরকত,রফিক,জববার রেখেছেমোদের মান।

৫২ এর একুশ ফেব্রুয়ারিস্বাধিকারের প্রেরণা

ভাষার জন্যসবাই সজিবএকতাবোধের নমূনা।

সেই দিনের আত্নত্যাগে হয়েছে মোদেরঅভিজ্ঞতা

গোলামি থেকে মুক্তি পাই ২৩ বছরে স্বাধিনতা।

ভাষা দিবস দেশ পেরিয়ে সারাবিশ্বে উদ্যাপন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙ্গালিদের অর্জন।

বাংলা তারিখ আট ফাল্গুন ইংরেজিএকুশ ফেব্রুয়ারি

সকল ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রয়োগ খুবই জরুরি।

মোরা বাঙ্গালিবীরের জাতি কোথা নাই মাথানত

সেই কারণে বাংলা ভাষা বিশ্বে এত পরিচিত।

 সারাটাবছর ভুলিয়ে থাকি,একুশ এলেই স্মরি

শহিদদের আত্না শান্তি পাবেনা,যদি এরুপ করি।

 

(রেজাউল করিম

০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

 

 

 

বাংলা ভাষা

 

৫৮ এর আট ফাল্গুন ভাষারদাবি সোচচার

ভাষার জন্য শহিদ হন সালাম,বরকত,জববার

আন্দোলনে গুলি চালায় পাকিসতান সরকার

শহিদ মিনার স্মৃতি চিহু  নিহত ছাত্র-জনতার।

সারাবিশ্বে কেউ দেয়নি ভাষার জন্য জীবন দান

বাঙ্গালির বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক স্বিকৃতি পান।

তাঁদের কথা মনে পড়ে শহিদ মিনার সামনে এলে

জম্ম নিয়ে কথা বলি বাংলা ভাষায় মা বলে।

এক শ্রেণির সুবিধাবাদি আজে-বাজে কথা বলে

শহিদ স্মৃতি মুছতে চায় ধর্ম গেল ধুয়া তোলে।

শহিদ দিবস আট ফাল্গুন পালন করি প্রতিবছর

মাতৃভাষা দিবস পালন সারা বিশ্বে একুশ অমর।

ভাষার উপর আক্রমন বাংগালি জাতির জাগরণ

ক্রমান্বয়ে শুরু হয় স্বাধিকারের আন্দোলন।

চির ভাস্বর শহিদ মিনার আটফাগুন রাত বারোটায়

সর্বসতরের জনসাধারণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

 

(রেজাউল করিম

০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

 

 

 

 

 

স্বাধিনতা বিরোধি

(রেজাউল করিম )

 

বাংলাদেশটা স্বাধিনতা বিরোধিহায়েনাদের খপ্পরে

মুক্তিকামি  জনগণকে আসতে হবে উদ্ধারে।

অসাম্প্রদায়িক দেশটাকে গড়তে চায় পাকিসতান

বাস করে এদেশে অন্য দেশের গুণগান।

ধর্ম গেল ধূঁয়া তুলে তারা ছাড়ে হুংকার

উন্নয়নশিল দেশটাকে পুড়ে করে ছারখার।

তাদের কাছে নিরাপদ নয় মানুষের জানমাল

বোমা ছুঁড়ে,ককটেল মারে যখন তখন হরতাল।

রাজাকার আলবদর সবাই মিলে একাকার

অযৌক্তিক হরতাল দিয়ে চালায় দমন অত্যাচার।

দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মরিয়া হয়েছে যারা

তাদের প্রতিরোধে এক হও করতে হবে তাড়া। 

 

 

 

 

বিজয়  দিবস

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

মুজিব  পায়  বেশি  আসন  সত্তর সালের  নির্বাচন

গদি তারে না দিয়ে চালায় অত্যাচার নির্যাতন।

জালাও,পোড়াও ধরপাকড় হত্যাযজ্ঞে পাকবাহিনি

ত্রিশ লাখ শহিদ হয় দুই লাখের সম্ভ্রমহানি।

কোটি লোকের দেশত্যাগ অসংখ্য জনপদ ধবংস

টিক্ক^া খানের নির্দেশে বাঙ্গালিহয় নির্বংশ।

প্রধানমন্ত্রি  তাজউদ্দিন শেখ মুজিব রাষ্ট্রপতি

১১ সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ ওসমানিতার সেনাপতি।

যুদ্ধ শেষে আত্নসমর্পন,৯৩ হাজার সৈন্য

যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি হয় ধন্য।

মার্চ মাসে যুদ্ধ শুরু ডিসেমবরে শেষ

নয় মাস যুদ্ধ করে তেমনি পাই দেশ।

ঊনিশ শত একাত্তর ষোল ডিসেমবর

বাঙ্গালির চুড়ান্ত বিজয় বিশ্ব পায় খবর।

দিনটিকে স্মরনিয় রাখতে দেশের আপামর

জাতীয়ভাবে বিজয় দিবস পালন প্রতিবছর।

যাঁদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ

তাদের প্রতি ছালাম জানাই শুভেচছা সর্বশেষ।

জাতির পিতা

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

ইংরেজ আসে ব্যবসা করতে শাসন করে ২০০বছর

স্বাধিন দেশ পরাধিন করে সেইযুগের মিরজাফর।

ফকির বিদ্রোহ, শরিয়তুল্লাহ, দুদু মিয়ার ফরায়েজি

বিদ্রোহ করেন সিপাহিগণ, তিতুমির, গান্ধিজি।

মহাত্না গান্ধির বঙ্গভঙ্গ মোহাম্মদ আলির ১৪ দফা

শেরে বাংলার লাহোর প্রসতাব ব্রিটিশের হয় রফা।

ইংরেজদের পতন ঘটে শাসনের হয় অবসান

৪৭ সালে স্বাধিনতা লাভ ভারত ও পাকিসতান।

মোহাম্মদ আলি গভর্নর পাকিসতানের শাসনভার

 রাজনিতির ময়দানে মুজিব চায় প্রতিকার।

দুই পাকিসতানের দুই ভাষা সকলেই জানে

বৃহৎ গোষ্ঠির বাংলাভাষা তারা নাহি মানে।

কৃষি শিক্ষা স্বাসহ্য , শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য

রাসতা-ঘাট,চাকুরি ক্ষেত্রে চলে শোষন বৈষম্য।

প্রিয় নেতা শেখ মুজিব টুঙ্গিপাড়ায় জম্ম তাঁর

স্বাধিকারের আন্দোলনে সর্বদাই সোচচার।

কিসে জাতির মঙ্গল হবে সর্বদা ভাবেন শুধু

দেশের মানুষ ভালবেসে উপাধি দেন বঙ্গবন্ধু।

শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দি ,মাওলানা ভাসানি

স্বাধিন,সার্বভৌম বাংলাদেশ কেউ দিতে পারেনি।

শেখ মুজিবের নেতৃতেব বাংলাদেশের অভ্যুদয়

দেশ,জাতি,ভাষার নাম মানচিত্রে যুক্ত হয়।

শেখ মুজিবের বাংলাদেশ সহায়ি মোদের ঠিকানা

তার মতো যোগ্য নেতা এ বিশ্বে আর হবেনা।

জাতীয় সংগিত, জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা

সেই কারনে শেখ মুজিব বাংগালি জাতির পিতা।

 

 

বাংলাদেশের সম্মা

 

(রেজাউল করিম০১১৯৭০৫৭৭২৪)

 

স্বাধিনতার আন্দোলনে শেখ মুজিবের নেতৃতবদান

স্বাধিন,সার্বভৌম বাংলাদেশ আঃ লীগের অবদান।

বাংলাদেশ আঃ লীগ দিয়েছে জাতীয় পতাকা

জাতীয় পতাকার পরিচয় লাল সবুজে ঢাকা।

আঃ লীগের শেখ মুজিব ‘‘জুলি ওকুরি’’পদকপান

বহির্বিশ্বে বৃদ্ধি পায় বাংলাদেশের মান সম্মান।

শেখ হাসিনার আঃ লীগ পদক পান সেরেস

খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতায় সম্মান দেয় বিদেশ।

গণতান্ত্রিক দল আঃ লীগ ভাবে দেশের কথা

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ এক সুত্রেগাঁথা।

এমডিজি,সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড আরো কত

জাতিসংঘে পদক পায়নি কেউ হাসিনার মত।

ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যারা গঠন করে দল

গণতন্ত্র ধবংস করে অস্ত্র তাদের বল।

ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে আঃ লীগ সংগঠন

জাতিসংঘে জোরালোভাবে ভাষার দাবিউত্থাপন।

সেনা প্রধান ভোট ছাড়া যদি হয় সরকার

ক্ষমতার পালাবদলে ভোটের কি দরকার ?

 

 

 

 

মুক্তিযোদ্ধা

(রেজাউল করিম)

 

৭১ এর বির তুমি আজকে কেন ভিরু

বঙ্গবন্ধুরআহবানে মুক্তিযুদ্ধের শুরু।

১৫দিনের ট্রেনিং নিয়ে জীবন বাজি রেখে

নয় মাসে দেশস্বাধিন বিশ্ববাসিদেখে।

দখলদার, পাক হানাদার করেছো সাবাড়

দেশের শক্র রাজাকারকে দিয়েছো দাবাড়।

দেশ বিরোধিরাজাকার আজও হুংকারে

মাতৃভূমি ধবংস করে হায়েনার চীৎকারে।

এদেশ চায়নি যারা বিরদর্পে কেন তারা ?

তাদের কারনে তুমি আজকে পিতা হারা ।

সু সজ্জিত পাক বাহিনিতোমার কাছে নত

প্রতিরোধে এক হও মুক্তিযোদ্ধা যত।

আর নয় প্রতিবাদ গড়তে হবে প্রতিরোধ

ঘুমানোর সময় নেই নিতে হবে প্রতিশোধ।

 

ওরা সব

(রেজাউল করিম)

 

 

একাত্তরএর ডিসেমবর, জাগ্রত জনতা

চারিদিকে কোলাহল বিজয়ের বারতা।

রাজাকার আলবদর ওরাসব জানোয়ার

জানোয়ার প্রতিরোধে প্রয়োজনতলোয়ার।

পাক সেনা দুশমন জান মেরে খান্ খান্

দালালের ভূমিকায় এদেশের শয়তান।

মা বোন নিয়ে যায় পাকিদের আখ্ড়ায়

দিনরাত হানা দেয় মুক্তিযোদ্ধার ঠিকানায়।

পুল সেতু কালভার্ট ঘর বাড়ি ছারখার

লোক ছাড়া মাটি চায় সবকিছু মেছ্মার।

 

বিজয়ের প্রাক্কালে বুদ্ধিজীবি হত্যা করে

মুক্তিযোদ্ধার আক্রমনে সমর্পন নতশিরে।

 

স্বাধিনতা চায় নাই মনে প্রানে পাকিসতান

বাস করে এ দেশে অন্যের গুণগান।

 

৪২ বছর গত হয় আচরন না বদলায়

কলংক মোচনহয় ফাঁস দড়ি লটকায়।

 

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

(রেজাউল করিম ০১১৯৭০৫৭৭২৪)। 

১৯২০ এর ১৭ মার্চ,জম্ম নেন যে সন্তান

তিনি হলেন মহান নেতা,শেখ মুজিবুর রহমান।

মাতানাম সায়রা বানু,পিতা লুৎফর রহমান

স্ত্রীর নাম ফজিলাতুন্নেছা বড়ই পূণ্যবান।

কামাল,জামাল, রাসেল পুত্র তিন জনা

বড় মেয়ে হাসিনা , অপর জন রেহানা।

 

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আবাসভূমি যার
 বাংলা ভাষা ও বাংগালীর চির অহংকার।

গোপালগঞ্জ হাইস্কুলে শিক্ষা জীবন শুরু

সোহরাওয়ার্দী,শেরে বাংলারাজনীতির গুরু।

ছোটথেকেই স্বাধীনচেতা,প্রতিবাদী স্বর

শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধেসর্বদাই ভাস্বর।

গোপালগঞ্জে পড়াকালে সেই ঘটনা জানি

ছাত্রাবাসের ছাদ চুঁইয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি।

সোহরাওয়ার্দী,শেরে বাংলা, স্কুল পরিদর্শন করেন

মুজিব তাদের সমস্যাগুলোসামনে তুলে ধরেন।

বুদ্ধিদীপ্ত সাহস নিয়ে কথা বলার জন্য

দোয়া করেন জাতির নেতা হওয়ার জন্য ।

১৯৪৭ সালে উপ-মহাদেশভাগ হয়

ভারত ও পাকিসতান দুই রাষ্ট্রের অভ্যুদয়।

পাকিসতানের দুই অংশ,পূর্ব -পশ্চিম পাকিসতান

মধ্যখানে ভারত রাষ্ট্র, অপর নাম হিন্দুসহান।

ভাষা,সংস্কৃতি ভিন্নতর, সংঘাত হয় বারবার

রাজনীতির ময়দানে মুজিব চায় প্রতিকার।

পূর্বাঞ্চলে বাংলা ভাষী,সাড়ে সাত কোটি লোক

পশ্চিমাংশে পাঁচ কোটি তারাই মোদের শাসক।

দুইপাকিসতানের দুই ভাষা সকলেই জানে

বৃহৎ গোষ্ঠীর বাংলাভাষাতারা নাহি মানে।

রাষ্ট্র ভাষা উর্দূ নিয়েজিন্নাহদেশে আইল

ছাত্র জনতার প্রতিবাদে জিন্নাহসতম্ভিতহইল।

সালাম,বরকত,রফিক জববার ৫২’তেশহীদ হন

আট ফাল্গুনবাংলা ভাষাররাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জন।

ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধিকারের সূচনা

৫৪’তে নির্বাচন জয় একতা বোধের নমুনা।

৫৬’তে শেখ মুজিব,মন্ত্রিসভারশপথ নেন

৫৮’তেআইযুব খান,মন্ত্রিসভা ভেংগে দেন।

পশ্চিমারা হাতে নেন,পাকিসতানের শাসনভার

আইয়ুব খান দেশ চালান এগার বছর একাধার।

৬৫’তে কাশ্মির দখল, পাক- ভারত যুদ্ধ

৬৬ সালেরছয়দফা,গড়ে তোলে দূর্গ।

বাঙ্গালী জাতির মুক্তি সনদ ছয় দফা ঘোষণা

শাসকবর্গ এড়িয়ে চলে তার কথা মানেনা।

ছয় দফায়যুক্ত হয়, ছাত্রদের এগারো দফা

আন্দোলন তীব্র হলে,আইয়ুবের হয় রফা।

ছয় দফার আন্দোলনেঅচল হয় প্রশাসন

আগরতলা মামলা দিয়ে শুধু বিচার প্রহসন।

মোদের নেতার বিচার, জাতির বড় অপমান

আন্দোলনে মুক্তিপানশেখমুজিবুর রহমান।

সবার মাঝে মুজিব আসে রেসকোর্স ময়দানে

বঙ্গবন্ধু নাম উপাধি দেন লাখো জনতা সেখানে।

শেখ মুজিবের কারাজীবন,১৪ বছর নির্যাতন

 ২৩ বছর দুঃশাসন, ৬৯ এগণঅভ্যুত্থান।

গণঅভ্যুত্থান পাগল পারা, বাংলার বীর জনতা

মুজিব ভাই নিয়ে এলো নবীন বারতা।

অতঃপর পাকজান্তা, আইয়ুব খানের পলায়ন

ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায়,৭০ সালের নির্বাচন।

 আওয়ামী লীগের বিজয়, ১৬৭ আসনে গনরায়

পশ্চিমাংশে পিপলস্ পার্টি সর্বাধিক আসন পায়।

ক্ষমতায় ইয়াহিয়া খান করে নানা টালবাহানা

অনিবার্য হয়ে উঠে সাত মার্চের ঘোষণা।

এ বারের সংগ্রাম,মুক্তির সংগ্রাম ছিল বজ্রকন্ঠ

যুদ্ধকালীন এই ভাষনে,বাঙ্গালী হয়উদ্দীপ্ত।

জয়বাংলা শ্লোগান,  জিন্দাবাদের বিরুদ্ধে

বীর জনতা লড়াই করেনস্বাধীনতা যুদ্ধে।

২৫ মার্চ কালরাত্রি, গুলি চালায়সারাদেশে

শেখ মুজিবের স্বাধীনতাঘোষণাএলোশেষে।

 দীর্ঘ সময় ক্ষেপনকরে,সমরাস্ত্র বৃদ্ধি করে

গদি তারে দেবে না,পাকজান্তা বুদ্ধি করে।

 ৭১ এর মার্চ মাসে,  মুজিবকে বন্দীকরে

বিমানেনিয়ে যায় পাকিসতানের কয়েদ ঘরে।

শেখ মুজিবের অবর্তমানে, সংশয় জনমনে

যুদ্ধচলে মুজিব নগর সরকারের অধীনে।

প্রধানমন্ত্রিতাজউদ্দিন,শেখ মুজিব রাষ্ট্রপতি

১১ সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ,ওসমানী তার সেনাপতি।

নয় মাসের যুদ্ধ ,হত্যা-যজ্ঞে পাকবাহিনী

ত্রিশলাখ শহীদ, দুই লাখেরসম্ভ্রমহানি।

টিক্কা খানের নির্দেশে,বাঙ্গালী হয় নির্বংশ

  কোটি লোকের দেশত্যাগ, বহু জন-পদ ধবংস।

যুদ্ধ শেষে আত্নসমর্পন, ৯৩ হাজার সৈন্য

যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী হয় ধন্য।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস,১৬ ডিসেম্বর

বিজয় দিবস হিসাবে মানি বংশ পরম্পর।

মুক্তিযোদ্ধা-মিত্রবাহিনী,বাংলাদেশ করে স্বাধীন

যুদ্ধকালীন কারাগারে, মুজিব থাকে অন্তরীন।

স্বাধীন দেশে মুজিব ফিরে,১০ জানুয়ারী বাহাত্তর

সংবর্ধনা দেয় ইংল্যান্ড,ভারতদেশের আপামর।

 ফিরে এসেপ্রণয়ন করেন,বাংলাদেশের সংবিধান

 গণতন্ত্র,সমাজতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষতা,জাতীয়তাবাদের বিধান।

বিতর্কিত ভূমিকায় জামাতে ইসলাম নিষিদ্ধ হয়

রাজাকার গোঃ আজমের নাগরিকত্ব বাতিল হয়।

মাদ্রাসা বোর্ড গঠন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

ওআইসি’র সদস্য লাভ, শিক্ষা জাতীয়করণ।

 অসংখ্য গভীর নলকুপ ,সেচের জন্য  ফ্রি প্রদান

কোথাও জমি খালি রবে না বঙ্গবন্ধুর আহবান।

যুদ্ধ বিধবস্ত দেশ গঠনে ভারতের সাহায্য প্রদান

ভালো কাজের অবদান‘জুলি ও কুরী’ খেতাব পান।  

 

 

 

 

 

মাতৃভূমি স্বাধীন করে নিজেরা দেশ চালাই

এর চেয়ে অধিক সুখ,কোথা আছে ভাই।

একে একে সাড়ে তিন বছর গত হয়েযায়

৭৫ এর ১৫ আগস্ট, ঘাতক গুলি চালায়। 

স্বপরিবারে শাহাদত বরন বঙ্গবন্ধুভবনে

চির নিদ্রায় শায়িত হন অন্তিম শয়নে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, অবিসংবাদিত নেতা

তিনি হলেন শেখ মুজিব,বাঙ্গালী জাতির পিতা।

শেখ হাসিনা ও রেহানা ভাগ্যক্রমে বিদেশে

দু-বোনের জীবন বাঁচে,আল্লাহ পাকের নির্দেশে।

১৫ আগস্ট হত্যাকান্ড,জাতির জন্য পীড়াদায়ক

ফারুক,রশিদ,ডালিম গং সেই হত্যার মহানায়ক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শেখ হাসিনার উন্নয়নঃ

 

শোন শোন জনগণ, করি আমি নিবেদন

শেখ হাসিনার গুণের কথা করছি বর্ণন।

৯৬ এর নির্বাচন, ঐক্যমতের সরকার

জাসদ,জাপার সমর্থন, হাসিনার দরকার।

ইনডেমনিটি বাতিলকরণ,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

বঙ্গবন্ধু-জয়বাংলা,ফিরিয়ে আনেন হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুরবিচার শুরু ,জাতীয় চার নেতার

অপরাধীর মূল হোতা, এরশাদ শিকদার।

পাহাড়ীদের শান্তি চুক্তি, হানাহানি নিরসন

ভারতের পানি চুক্তি,মজবুত হয় বমধন।

গণতন্ত্রপ্রতিষ্ঠা পায় ভাত-ভোটের অধিকার

সর্বদা সোচচার হন যদি দেখেন অবিচার।

মুক্তিযোদ্ধা,বয়স্কভাতায় গরীবের হয় উন্নতি

বিধবা,মাতৃত্ব ভাতা আরো দেন প্রতিবন্ধী ।

সার, তেল, বীজেউৎপাদন হয় বৃদ্ধি

জাতিসংঘের সেরেস পদক উন্নয়ন,সমৃদ্ধি।

দেশ-জাতির কল্যাণে শেখহাসিনার অবদান

মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, মরনোওর চক্ষুদান।

মেয়াদশেষে ভোট করেন, বিচারপতি লতিফুর

জনতার রোষ থেকে, চলে যান অনেক দূর।

২০০১ এর নির্বাচনে, খালেদার যোগসাজশ

আঃ লীগের পতন আসে, বিএনপির পৌষমাস।

খালেদা জিয়ার ২য় শাসনকাল

খালেদার ভোট জয়ে,সরকার গঠন ২য় বারে

যুদ্ধাপরাধী জামাতে ইসলাম থাকে সরকারে।

হাওয়া ভবন সৃষ্টি হয়চাঁদাবাজির তরে

বোমাবাজি,দূর্নীতিতে দেশ উঠলো ভরে।

সারের জন্য কৃষক মরে গুলিবিদ্ধ ১৮জন

বিদ্যুতের দাবীতে ৬ জন, শ্রমিক মরে ৮ জন।

১৫ আগস্ট কেক কাটে, ভূয়া জম্মদিন পালন

বাংলা ভাই সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীদের লালন।

৬৩ জেলায় বোমা ফোটে , রমনার বটমূল

 সিনেমা হলে গ্রেনেড হামলা সাতক্ষীরা ভন্ডুল।

২১ আগস্ট ২৩ জন, নিহত আইভি রহমান

সিলেট, যশোর, খুলনা বোমাবাজির খতিয়ান।

 ১০ ট্রাক অস্ত্র আনে,জঙ্গীবাদের বিসতার

হত্যা চেষ্টা ১৯ বার, হাসিনা পায় নিসতার।

শহীদ মিনার ভেংগে ফেলে, অবমাননা পতাকার

অন্তরে পাকিসতানপ্রীতি, ভারত বিরোধী হুংকার।

খাম্বা প্রকল্পের মাধ্যমে কোটি টাকা পাচার

দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন,বাংলাদেশ ৫বার।

এককোটি ২৪ লাখ,লেখেন ভুয়া ভোটার

যাচাই পূর্বক বাতিল করেন,তওবাবধায়ক সরকার।

কালোটাকা সাদাকরেন,প্রধানমন্ত্রি খালেদা

তারেক জিয়াসর্বদাপান মস্ত্রিত্বের মর্যাদা।

বিনা বিচারে মানুষ হত্যা,র‌্যাবের সমাচার

দেখামাএ গুলি চালায়ক্রসফায়ারপ্রচার।

কিবরিয়া,মঞ্জুরুল ইমাম,আহসান উল্লাহ মাস্টার

কোন হত্যার বিচার হয়না সরকার নির্বিকার।

অর্থ পাচার মামলায়, তারেক- কোকো গ্রেফতার

সেই অর্থ ফেরৎ পাঠায় সিংগাপুর সরকার।

সংখ্যালঘুর সম্পদ হানি, আরো যান কোরবান

এই দিন সেই সময় , ফিরে দেখা অনুষ্ঠান প্রমান।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে  ১৪ দলীয় জোট হয়

২০০৮ এর নির্বাচন, বিএনপির পরাজয়।

শেখ হাসিনার ২য় শাসন কাল

মন্ত্রিসভা গঠন , জাতীয় পার্টি শরীক দল

আঃ লীগ,জাসদ মহাজোটে সাম্যবাদী দল।

শিশু স্বাসহ্য উন্নয়ন, শিশু মৃত্যুর হার কমান

‘এমডিজি’,‘সাউথ-সাউথ’ অ্যাওয়ার্ড তার প্রমান।

হাতির ঝিল প্রকল্প, নজরকাড়া দৃষ্টিনন্দন

ফ্লাইওভার নির্মাণ করে যানজটের নিরসন।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু,বঙ্গবন্ধুরনিস্পওি

বিচারের মধ্য দিয়ে জাতি পায় নিস্কৃতি।

১০ টাকার একাউণ্টে, ডিজেলে ভর্তূকী প্রদান

টিফিনভাতার প্রবর্তন,মাতৃত্ব ছুটি বৃদ্ধিদান । 

রেমিটেন্স ,ব্যাংক রিজার্ভ জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি

বাংগালীর মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

গার্মেণ্টস- এ ২য় সহান, ৫ম সহান উন্নয়ন

সমুদ্র জয়ে অধিকারলাভ,দেশের বিরাট অর্জন।

চাকুরী ক্ষেত্রেঅগ্রাধিকার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

রাষ্ট্রীয়ভাবে লাশ দাফনের আরও সুবিধা পান ।

সোনালী অাঁশ পাটের, জম্ম রহস্য উদ্ঘাটন

  অপরাধীর রেহাই নেই শিকড় থেকে উৎপাটন।

স্ত্রীর মৃত্যু হলে, স্বামীর মাসিক পেনশন

শিক্ষাবছরের শুরুতে কোটি কোটি বই বিতরণ। 

সিল্ক সিটি,রংপুর এক্সপ্রেস,পরিবহনে সংযোজন

ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা কর্তৃক ডঃ ডিগ্রী অর্জন।

কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ, রুমা,থানছি , তিসতা

সড়কপথে সময় বাঁচে,সহজ হয়রাসতা।

  আশুগঞ্জ,শিকলবাহায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহাপন

দেশে ১০হাজার মেঃ ওঃ সর্বোচচ বিদ্যুৎ উৎপাদন।

একটি বাড়ি একটি খামার, বেকারের কর্মসংসহান

 বা নৌজা খুলনা কর্তৃক যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ।

খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র নিরসন

ফাও কর্তৃক হাসিনার ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড অর্জন।

সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ে, নৈশ প্রহরী নিয়োগ

বেকার সমস্যার সমাধান,কর্মসংসহানের উদ্যোগ।

শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন,ওয়ার্ল্ড এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড

শান্তিতে গান্ধি পদক, বুদ্ধদের পিস অ্যাওয়ার্ড ।

ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেমেদ্র, বিশ্বের তথ্য উম্মোচন

স্বাসহ্য সেবায় কমিঃ ক্লিনিক, প্রাঃ বিদ্যালয় জাতীয়করণ।

বিশ্ব ক্রিকেটের আয়োজন, বিশ্বের দৃষ্টিআকর্ষণ

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে২০২১ ভিষন।

অন-লাইন জম্ম নিবন্ধন, ছাত্রভর্তি,ফরম পুরন

তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন,ফল প্রকাশ সহজীকরন।

মোবাইল ব্যাংকিং,মানি অর্ডার, লেন-দেন দ্রুততর

বিকাশ কেন্দ্রসচরাচর, অর্থ প্রেরণ সহজতর।

ব্যাংক-বীমা,কল-কারখানা,হাসপাতাল ভবন

অফিস-আদালত,ছাত্রীহোস্টেলনির্মাণশিশু সদন

কৃষি, শিক্ষা, বাণিজ্য, শিল্প ও লবন নীতি

সুসহ্য, সবল দেহের জন্য প্রণয়ন স্বাসহ্য নীতি।

বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি,জাতিসংঘে পদক প্রাপ্তি

বহির্বিশ্বে বীরের জাতি,উজ্জবল মোদের ভাবমূর্তি।

বিদেশ যাওয়ার বিড়ম্বনা ,দালালের জ্বালায় বাঁচিনা

টাকা খোওয়ার সম্ভাবনা, বমধ করেন হাসিনা।

 অল্প টাকায় বিদেশ গমন,চাকুরী ক্ষেত্রেসুযোগ দান

প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন,এ সরকারের অবদান।

এমডিজি,সাউথ সাউথ,সেরেস আরো কত

জাতিসংঘে পদক পায়নি কেউ হাসিনার মত।

ইউনিয়ন পরিষদ,পৌরসভা  ৫সিটির নির্বাচন

অবাধ,সুষ্ঠু , নিরপেক্ষ, নির্বাচন করেন আয়োজন।

 এ রকম উন্নয়ন আর, কত শোনাব ভাই

লিখতে গেলে পাতা বাড়ে ইতি টেনে যাই।